তাঁর নাম জুয়েল মিয়া। তিনি একজন ব্রিটিশ মুসলিম শিক্ষক। গণিত পড়ান। তিনি তাঁর স্কুলের এক শিক্ষা সফরে যেতে চেয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
বিবিসি জানিয়েছে, জুয়েল মিয়া ব্রিটেনের সাউথ ওয়েলসের নিত পোর্ট টেলবোটের অংক শিক্ষক। তিনি শিক্ষা সফরে অন্যদের সঙ্গে আইসল্যান্ডের রেকজাভিকে স্কুল টিমের সঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে যখন তিনি তাঁর টিমের সঙ্গে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন তাঁকে থামিয়ে দেয়া হয়। গত ১৬ ফেব্র“য়ারি এ ঘটনা ঘটে।
বিবিসি ওয়েলস লন্ডনে মার্কিন দূতাবাসের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য চেয়েছে।
নিত পোর্ট টেলবোট কাউন্সিল মার্কিন দূতাবাসকে লেখা এক চিঠিতে মি. মিয়ার প্রতি এ আচরণের ঘটনায় তাদের অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে। কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ বলেছে, মি. মিয়ার বৈধ মার্কিন ভিসা রয়েছে। একজন মুখপাত্র আরো উল্লেখ করেন যে, স্কুলের শিক্ষা সফর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চলমান থাকে। কিন্তু মি. মিয়াকে অপসারণের ঘটনায় ছাত্র এবং অন্যান্য শিক্ষকরা ‘ব্যথিত এবং মর্মাহত’ হয়েছেন। তাঁর কথায়, এ ঘটনায় আমরা বিস্মিত এবং এর ব্যাখ্যা দাবি করছি। স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকেও এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।
জুয়েল মিয়া একজন অঙ্কের শিক্ষক। এবং তিনি সাত শ ছাত্রকে পাঠদান করে থাকেন। মুখপাত্রটি বলেন, রেক জা ভিকে মার্কিন দূতাবাস তাঁর ভিসা থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁর নিউইয়র্কগামী ফ্লাইটে ওঠা আটকে দিয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দেয়নি।
উল্লেখ্য যে, ২৭ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এক সপ্তাহ পরে সিয়েটেলে একজন ফেডারেল জাজ ওই আদেশ স্থগিত করেন। এবং পরে একটি আপীল আদালত তা সমুন্নত রাখেন। মি. ট্রাম্প এখন সংশোধিত আদেশ জারির চিন্তা-ভাবনা করছেন।
মুসলিম কাউন্সিল অব ওয়েলস-এর সহকারি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিম আহমেদ বলেছেন, ‘এই ঘটনায় তিনি গভীরভাবে সংক্ষুব্ধ। এটা খুবই বেদানাদায়ক যে একটি শিক্ষা সফরে বাচ্চাদেরকে তাদের একজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে সফর শেষ করতে হয়েছে।’ এই শিক্ষা সফরে অংশগ্রহণকারীরা সোমবার ব্রিটেনে ফিরে এসেছে।