মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক উপবৃত্তি বিতরণের সুফল - দৈনিকশিক্ষা

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক উপবৃত্তি বিতরণের সুফল

দৈনিক শিক্ষা ডেস্ক: |

ডিজিটাল পেমেন্টের আওতায় এসেছেন দেশের প্রায় এক কোটি মা। কোনও সার্ভিস চার্জ ছাড়াই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করার মধ্য দিয়ে এই অসাধ্য সাধন করছে রূপালী ব্যাংক শিওরক্যাশ।

জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে রূপালী ব্যাংক শিওরক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি সারাদেশে বিতরণ করা হচ্ছে। দেশব্যাপী ৮০ হাজার গ্রামের ৬০ হাজার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রায় এক কোটি মা তাদের নিজেদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে এই উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছেন এবং নিকটস্থ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে সুবিধামত সময়ে এই টাকা তুলে নিচ্ছেন। এ উপবৃত্তি তুলতে কোন সার্ভিস চার্জ নেই অর্থাৎ মায়েরা নির্ধারিত পুরো টাকাই পাচ্ছেন।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণ বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে বড় পেমেন্ট ডিজিটালাইজেশন প্রকল্প। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং রূপালী ব্যাংক শিওরক্যাশ মিলিতভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এক্ষেত্রে প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকদের ভূমিকা উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়। সারাদেশে ৬০ হাজার বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এই ডাটাবেজ তৈরিতে কাজ করেছেন। এছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং অফিসারবৃন্দ এই ডাটা যাচাই বাছাই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে এক কোটি পরিবারের ডাটা সম্বলিত এই ডাটাবেজ প্রস্তুত করা ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য একটি অসামান্য সাফল্য।

এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি মা একটি করে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট পেয়েছেন, যা উপবৃত্তির টাকা পাওয়া ছাড়াও টাকা পাঠানো, জমানো, গ্রহণ, মোবাইল রিচার্জ ও বিল দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১ মার্চ ‘মায়ের হাসি’ নামক এ প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় বলেন, ‘আমরা এখন এক ক্লিকে সারাদেশে এক কোটি মায়েদের ফোনে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দিচ্ছি। গ্রামের মায়েরাও এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা পাচ্ছে।‘

এ বিষয়ে যশোর জেলার সদর উপজেলার পীরেরহাট গ্রামের পীরেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মা সাজেদা বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি তার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা পেয়েছেন। কাছের বাজারে এজেন্ট থেকে টাকা তুলতে পেরেছেন কোন ফি ছাড়াই।

অন্য আরেক উপবৃত্তি সুবিধাভোগী রাজিয়া খাতুন জানান, প্রথম বার তিনি উপবৃত্তির টাকা পেয়ে সাথে সাথেই তুলতে পেরেছেন। পরেরবার সব টাকা না তুলে যতটুকু দরকার, ততটুকুই তুলেছেন।

একইসঙ্গে সারাদেশে বাজার পর্যালোচনার ভিত্তিতে রূপালী ব্যাংক শিওরক্যাশ তাদের এজেন্টদেরকে সর্তক করে দিয়েছে যাতে উপবৃত্তির টাকা তোলার সময় যেন কোনও ধরণের চার্জ না রাখা হয়। যদি কোনও এজেন্ট উপবৃত্তির টাকা তোলার সময় চার্জ কাটে সেক্ষেত্রে ওই এজেন্টের বৈধতা বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থাও নেবে শিওরক্যাশ কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যেক মা প্রথমবারের মতো একটি মোবাইল অ্যাকাউন্ট পেয়েছে, এতে মায়েদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়নের পথ সুগম হলো। এর মাধ্যমে গ্রামের মানুষের জন্য সঞ্চয়, স্বাস্থ্য-সেবা এবং বীমা ইত্যাদি সেবা সমূহ চালু করার জন্যও কাজ করা হচ্ছে।

এছাড়া তৈরিকৃত ডাটাবেজ বই ছাপানো, বিদ্যালয়ের ফলাফল পর্যালোচনাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে।

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে উপবৃত্তি বিতরণ এখন অনেক সহজ হয়েছে এবং ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বেড়েছে।‘

রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘রূপালী ব্যাংক দেশের প্রান্তিক জনগণের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেয়া এবং ঘরে বসে সহজে লেনদেনের সুবিধার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে।”

শিওরক্যাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহাদাত খান বলেন, “শিওরক্যাশ পেমেন্ট সিস্টেমে ব্যবহৃত সকল সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশে প্রস্তুত। এই দেশের তরুণ-তরুণীরা তৈরী করেছে বিশ্বমানের সফটওয়্যার।”

এই উপবৃত্তি সাধারণত তিন মাস পর পর ছাত্র-ছাত্রীদের মায়েদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। আগে যেখানে ১৫ হাজার কেন্দ্র ব্যবহার করে নির্দিষ্ট দিনে উপবৃত্তি নিতে হতো এবং নানারকম ঝামেলা পোহাতে হতো, এখন সেখানে লক্ষাধিক এজেন্ট থেকে যে কোন সময়ে এ টাকা তোলা যাচ্ছে।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040380954742432