আমার সবাই জানি, শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানী করে তোলার পাশাপাশি তাকে আরো সামাজিক, মানবিক ও সভ্য হতে সাহায্য করে। কিন্তু পড়ালেখা নাকি মানুষকে মিথ্যাবাদীও করে তোলে!
পড়ালেখার সঙ্গে মিথ্যার এই মাখামাখির কথা শুনে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। কারণ, বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘ গবেষণার পরে জানিয়েছেন এই তথ্য।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ছয় হাজার ব্যক্তির ওপর একটি জরিপ চালান যুক্তরাজ্যের মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গবেষণায় বেরিয়ে আসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের থেকে যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেননি, তাদের সততার মাত্রা প্রায় দ্বিগুণ। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষিত মানুষ মিথ্যা বলার আগে ধরা খাওয়ার হিসাব-নিকাশ করে নেন। তাই মিথ্যায় একপ্রকার পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, মিথ্যার পারদর্শিতা অর্জনে কোনো বয়স-কাল লাগে না। শিক্ষিত হলেই হলো। তবে নারীদের থেকে পুরুষ শিক্ষিতরাই সূক্ষ্মভাবে মিথ্যা বলতে বেশি দক্ষ।
গবেষকরা বলেন, আপনি যদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হন, তাহলে ধরে নিন আপনার মিথ্যা বলার দক্ষতা সবচেয়ে বেশি। মিথ্যার পারদর্শিতায় এরপরই আছেন স্নাতক ডিগ্রিধারীরা। যারা বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তারা মিথ্যা বলে মোটামুটি চালিয়ে নিতে পারেন। তবে মিথ্যার ক্ষেত্রে একটু সাবধান হতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পাস ব্যক্তিদের। কারণ, মিথ্যা বলায় তারা একটু কমই পটু। আর আপনি যদি স্কুল পাস না করে থাকেন, তাহলে আপনাকে তাদের মধ্যে সবচেয়ে সৎ বলতেই হবে।
এ বিষয়ে গবেষক ড. ভ্যালেরিও ক্যাপরারো জানান, মিথ্যা বলার আগে মানুষকে এর ফল সম্পর্কে সচেতন হতে হয়। এই সচেতনতার জন্য তাকে বেশ হিসাব-নিকাশ করতে হয়, যে দক্ষতা একজন শিক্ষিত মানুষের মধ্যেই বেশি পাওয়া যায়।