ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে রামপুরার আল আমিন হিফজুল কোরআন নামের এক মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে রামপুরা থানা-পুলিশ জামাল নামের ওই শিক্ষককে আটক করে।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাতে গ্রেপ্তার শিক্ষক পারভেজ (৯) নামের এক ছাত্রকে মারধর করেন। পরে আহত ছাত্রের বাবা খোকন মিয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জামালকে আটক করা হয়।
সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পারভেজকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। হাসপাতালে খোকন মিয়া অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে পারভেজ ওই মহানগর প্রজেক্ট এলাকার আল আমিন হিফজুল কোরআন নামের একটি মাদ্রাসায় পড়ে। এই মাদ্রাসাতেই থাকত পারভেজ। রোববার রাত ৯টার দিকে সে টয়লেটে যায়। বাইরে থেকে কেউ টয়লেটের বৈদ্যুতিক বাল্ব বন্ধ করে দেয়। সে ভেতর থেকে ধাক্কা দিয়ে চিৎকার করলেও কেউ দরজা খুলছিল না। এরপর সে দরজায় ধাক্কা দেওয়া শুরু করলে দরজার ছিটকিনি ভেঙে যায়। এতে জামাল নামের ওই শিক্ষক পারভেজকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। সোমবার সকালে পারভেজ মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় যায় এবং বাবার কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে। বেলা তিনটার দিকে তিনি ছেলেকে নিয়ে রামপুরা থানায় যান। পরে সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসার জন্য ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।খোকন মিয়া পরিবারসহ মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় থাকেন এবং হাতিরঝিল এলাকায় চা বিক্রি করেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে পারভেজ ছোট।
এ ব্যাপারে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষককে আটক করে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।