রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণের সুযোগ বহাল রেখেছে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। পাশাপাশি এ বছর থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ছেলে-মেয়ের পাশাপাশি নাতি-নাতনিরাও বিবেচিত হবেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এমএ বারী।
এমএ বারী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে সিনেট ভবনে প্রথম বর্ষ (স্নাতক) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা শুরু হয়। কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটির সুপারিশ করা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বহাল রাখা হয়েছে। তবে উপ-কমিটির সুপারিশ করা ভর্তি আবেদন যোগ্যতা এসএসসি এবং এইচএসসি মিলে মানবিকে জিপিএ ৭ দশমিক ৫০, ব্যবসায় শিক্ষা ৮ ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের ৮ দশমিক ৫০ পয়েন্ট করার সুপারিশ গ্রহণ করা হয়নি।
এ ক্ষেত্রে গত বছরের ভর্তির আবেদনের যোগ্যতাই বহাল রেখেছে ভর্তি কমিটি। অর্থাৎ মানবিকে জিপিএ ৭, ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৭ দশমিক ৫০ ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জিপিএ ৮ পয়েন্ট রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে তাঁদের ছেলে-মেয়ের পাশাপাশি এবার মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরাও বিবেচিত হবেন।
এমএ বারী বলেন, ‘বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজশাহী অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ তুলে দেওয়া হয়েছিল। গত ৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটির সভা থেকে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বহাল রাখা ও ভর্তি আবেদনের যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য ভর্তি পরীক্ষার মূল কমিটিকে সুপারিশ করা হয়েছিল। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তির আবেদন করা যাবে। ২২-২৬ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিস্তারিত খুব শিগগির বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।