রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বহালের জন্য ভর্তি পরীক্ষা কমিটিকে সুপারিশ করেছে ভর্তি পরীক্ষার উপ-কমিটি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটির সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
ভর্তি উপ-কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা।
আগামী ২২ থেকে ২৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ফলে চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গতবছর পাসকৃত শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে উপ-কমিটির সুপারিশ ভর্তি পরীক্ষার মূল কমিটিতে অনুমোদন হতে হবে।
গত শিক্ষাবর্ষে (২০১৬-১৭) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র ২০১৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীদের অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। তখন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। এর আগে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল।
এদিকে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন অনলাইনে শুরু হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর। চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এছাড়া গত বছরের চেয়ে এ বছর ভর্তি আবেদনের যোগ্যতাও বাড়ানো হয়েছে।
ভর্তি উপ-কমিটির সদস্য ও কম্পিউটার সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা জানান, ভর্তি উপ-কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ বঞ্চিত মেধাবীদের নিয়ে আলোচনা হয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে এ বছর দ্বিতীয়বার ভর্তি সুযোগ বহালের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদন যোগ্যতায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় শাখায় (চতুর্থ বিষয়সহ) নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ পেতে হবে। যা আগে ছিল ৭। বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় শাখায় (চতুর্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮ থাকতে হবে। যা আগে ছিল ৭.৫০।
আর বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় শাখায় (চতুর্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.৫০ পেতে হবে। যা আগে ছিল ৮। এছাড়া আইন বিভাগে ৪০টি আসন কমানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আব্দুল বারী বলেন, উপ-কমিটির সভায় কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা মূল কমিটি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সোবহান বলেন, কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে তা ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত মূল কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে কার্যকর করা হবে।