রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দশম সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর। ওই বছর ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক দিন ধার্য হলেও সমাবর্তন বক্তা, সভাপতিত্ব এবং রাষ্ট্র্রপতির উপস্থিতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় অনুষ্ঠিত হয়নি সমাবর্তন। এরপর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীরা এখনও জানেন না কবে হবে সমাবর্তন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে রদবদল হওয়ায় জটিলতা আরও বেড়েছে। তবে রাবি প্রশাসন সূত্র বলছে, আগামী শীত মৌসুমে সমাবর্তন আয়োজনের চিন্তা করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিন ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান দশম
সমাবর্তন আয়োজনের পদক্ষেপ নেন। এতে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাবিতে পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর এবং এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারীরা নিবন্ধন করার সুযোগ পান। নিবন্ধন ফি ধার্য করা হয় তিন হাজার ৫৭০ টাকা। কিন্তু ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি অনিবার্য কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানান। ফলে আচার্যের অনুপস্থিতিতে সমাবর্তনে উপাচার্য নাকি শিক্ষামন্ত্রী সভাপতিত্ব করবেন তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রশাসন। ফলে সমাবর্তন স্থগিত হয়ে যায়। এরপর গত ৭ মে অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহানকে নতুন উপাচার্য এবং ১৭ জুলাই অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে নতুন উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্যান্য কাজের ভিড়ে এখন পর্যন্ত তারা সমাবর্তন নিয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিবন্ধন করা পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী।
বিষয়টি নিয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে কোনোভাবেই সমাবর্তন আয়োজন সম্ভব নয়। আবার যারা নিবন্ধন করেছেন তারাও সমাবর্তন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে সমাবর্তন আয়োজন করা কঠিন। তবে আগামী শীত মৌসুমে অর্থাৎ নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি এই সময়টায় সমাবর্তন আয়োজন হতে পারে বলে আমার ব্যক্তিগত চিন্তা। এটি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’