লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মাধ্যমিক, প্রাথমিক ও মাদ্রাসাগুলোতে চলছে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি স্কুল ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের এক শেণির অসাধু শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থার সাথে গোপন চুক্তি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের পছন্দ অনুযায়ী গাইড বই পাঠ্য করছেন। বিনিময়ে তাদের মিলছে নগদ অর্থসহ নানা উপঢৌকন।
জানা যায়, উপজেলায় ৩১টি মাধ্যমিক ২০টি মাদ্রাসা, ১১৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৫০টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের বাণিজ্য। একেকটি প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষকরা নিষিদ্ধ গাইড বই যাচাই-বাচাই না করে শিক্ষার্থীদের কিনতে নির্দেশনা দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা ভালো-মন্দ না বুঝে শিক্ষকদের নির্দেশ মত দেদারছে কিনছে এসব নিষিদ্ধ বই। উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের হাতে অন্যান্য বইয়ের পাশাপাশি বিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত গাইড বই রয়েছে। অনেকে বলছেন শিক্ষকদের কমিশন বাণিজ্যের কারনে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ এসব গাইড বই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা ফেরদৌস বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্ডার গার্টেনসমূহে গাইড বই পড়ানো নিষেধ করা হয়েছে। এর পরেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বিএসসি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার মান উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সবাইকে শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হবে। শিক্ষা নিয়ে কেউ বাণিজ্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।