রোমান হরফে সাঁওতালি ভাষার পাঠ্যপুস্তক - Dainikshiksha

রোমান হরফে সাঁওতালি ভাষার পাঠ্যপুস্তক

মিথুশিলাক মুরমু |

ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস। ফেব্রুয়ারি এলেই ইলেকট্রনিক ও প্রিন্টিং মিডিয়া ভাষাবিদ, ভাষাসংগ্রামীদের নিয়ে আলোচনা সভা, সাক্ষাৎকার ইত্যাদির আয়োজন করে ভাষা শহীদদের অবদানকে স্মরণীয় করে থাকে। অপরদিকে দেশের অভ্যন্তরে থাকা আদিবাসীরা এক প্রকার কোমর বেঁধে ভাষা শহীদের মাসেই নিজ নিজ মাতৃভাষার স্বীকৃতি ও প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের দাবিতে রাজপথে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন, আলোচনা সভা কিংবা সেমিনারের আয়োজন করে থাকে।

বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার কয়েক বছর পূর্বেই প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ছয়টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর (সাঁওতাল, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, উরাঁও) পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ছিল। দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী সাঁওতালদের ব্যতীত অন্যদের প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন সম্ভবপর হলেও সাঁওতালদের বর্ণমালা বির্তকের জন্য ২০১৭ খ্রিস্টাব্দেও প্রণয়ন করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁও থেকে শুরু করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত এবং সিলেট-মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও খাগড়াছড়িতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আদিবাসী সাঁওতালদের বসবাস। বিশাল বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত সাঁওতালদের পক্ষেও ঐকমত্যে পৌঁছানো কিংবা নেতৃত্বের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে নিঃসন্দেহে।

২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ভাষার মাসের সূচনালগ্নেই আদিবাসী সাঁওতালরা আবারও প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন। আদিবাসীদের নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে জেলা শহরগুলোতে মানববন্ধনের আয়োজন এবং দাবি উত্থাপন করে চলেছেন, ‘প্রাক-প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তকে সাঁওতালী (রোমান) বর্ণমালা ব্যবহারের’। আদিবাসী নেতারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রেরণ করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন।

বিগত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর সাহেব বাজার চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহীদ সাটু হলের সামনে, ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়- জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ প্রাঙ্গণে; ১১ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে, ১২ তারিখ ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের চৌরাস্তায় এবং ১৪ তারিখ নওগাঁর মুক্তি মোড়ে সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। একই দাবিতে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত মানববন্ধনগুলোতে যুক্ত ছিল- উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম, আদিবাসী মুক্তি মোর্চা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, নর্দান আদিবাসী ছাত্র ঐক্যেজোট, নর্দান ইনডিজিনাস স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, সান্তাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, সাঁওতাল লেখক ফোরাম, সাঁওতাল সমন্বয় পরিষদ-বাংলাদেশ, রানাজোট সমবায় সমিতি, আদিবাসী সাঁওতাল ফেলোশিপ সমবায় সমিতি ঢাকা, বিএনইএলসি-সাহিত্য বিভাগ, তাবিথা সংবাদ প্রভৃতি।

উত্থিত দাবির স্বপক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে সংগঠনগুলো, যা অগ্রসর পাঠকদের উদ্দেশে কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘বাংলাদেশে প্রায় সাত লাখ সাঁওতাল তাদের এই সাঁওতালী ভাষায় কথা বলে। ১৮৫২ খ্রি. রোমান বর্ণমালায় সাঁওতালী ভাষার চর্চা শুরু হলেও রোমান বর্ণমালায় সাঁওতালী শব্দের সুস্পষ্ট উচ্চারণরীতি সম্ভব হচ্ছে না বিধায় এর বছর দশেক পর ১৮৬৩ খ্রি. রোমান বর্ণমালায় প্রয়োজনমতো কিছু চিহ্ন ব্যবহার করে এটিকে সাঁওতালী ভাষা ও সাহিত্য লেখার উপযোগী করে তোলা হয় এবং নাম দেয়া হয় সাঁওতালী লিপি। সেই থেকে অদ্যাবধি প্রায় ১৫৪ বছর ধরে এ র্বণমালায় ব্যাপকভাবে এ সাঁওতালী ভাষা ও সাহিত্য চর্চা হয়ে আসছে এই ভারতীয় উপমহাদেশে এবং বাংলাদেশে এখনও এর চর্চা অব্যহত রয়েছে।

এই সাঁওতালী বর্ণমালা ছাড়া অন্য কোন বর্ণমালায় এর সুস্পষ্ট উচ্চারণ ও যথার্থ ভাব প্রকাশ একেবারেই অসম্ভব। তাই বিভিন্ন সময়ে কতিপয় ব্যক্তি ও সংগঠন তাদের স্বীয় স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বাংলা বর্ণমালায় সাঁওতালী ভাষার বিকৃতি করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু সমগ্র বাংলাদেশের সাঁওতাল সম্প্রদায় সেই সব মানুষদের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রত্যাহার করছে। ভাষার শালীনতা ও যথার্থতা এবং মাধুর্যতা রক্ষায় আজ আপনার কাছে আমরা সাঁওতালী হরফে সাঁওতাল শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ্য পুস্তক প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সর্বস্তরে সাংবিধানিক নিশ্চয়তার প্রতিফলন ঘটানো এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখ-তা রক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের সচেতন করা। সেই জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আর্থ-সামাজিক শ্রেণী বৈষম্য ও নারী-পুরুষ বৈষম্য, সাম্প্রাদায়িকতা দূর করা। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও মানুষে মানুষে সহমর্মিতা বোধ গড়ে তোলা, মানবাধিকার এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে সবার জন্য শিক্ষালাভের সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বসবাসরত আদিবাসী শিশুসহ সব ক্ষুদ্র জাতি সত্তার সংস্কৃতি ও ভাষার বিকাশ ঘটানো।

সেই লক্ষ্যে সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতির (১৮) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করে যে, আদিবাসীরা যাতে নিজেদের মাতৃভাষায় শিখতে পারে সেই লক্ষ্যে আদিবাসী শিক্ষক ও পাঠ্য পুস্তকের ব্যবস্থা করা হবে এবং পাঠ্য পুস্তক প্রণয়ণে আদিবাসী সমাজকে সম্পৃক্ত করা হবে। আমরা বাংলাদেশ সরকারের এ লক্ষ্যকে বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে মাতৃভাষা অ-বিকৃত অবস্থায় রেখে কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য অর্জনে সহযোগিতার জন্য সাঁওতাল শিশুদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্য পুস্তক রচনার ক্ষেত্রে সাঁওতালী বর্ণমালা ব্যবহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সাঁওতালী বর্ণমালা ব্যবহারে পক্ষে আমাদের যুক্তি ও দাবিগুলো_

১. সাঁওতালী ভাষা মুণ্ডারী ভাষার অন্তর্ভুক্ত অতি প্রাচীন ভাষা। এই ভাষার নিজস্বতা ও স্বকীয়তা বজায় রেখে এখনও সাঁওতালী বর্ণমালায় ভাষা ও সাহিত্য চর্চা চলমান রয়েছে এদেশে তাই এই বর্ণমালাতেই পাঠ্য পুস্তক প্রণয়ন করতে হবে।

২. উচ্চারণ ও বাচন বিধির দিক থেকে সাঁওতালী ভাষা স্বতন্ত্র। কারণ শব্দের উচ্চারণগত পার্থক্যর কারণে অর্থের তারতম্য ঘটে ও বিকৃতি ঘটার কারণে বিপত্তির কারণ হয়; অতএব অন্য কোন হরফ দিয়ে পাঠ্য পুস্তক রচনা করা বাঞ্ছনীয় নয়।

৩. ‘বাংলাদেশ নর্দান ইভানজেলিক্যাল লুথারেন চার্চ’ (বিএনইএলসি) কর্তৃক উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর ১৯৭টি চার্চে সাঁওতালী ভাষার বর্ণমালায় গির্জা পরিচালিত হয়ে আসছে।

৪. বিএনইএলসি সদস্যভুক্ত প্রায় ১২ হাজার আদিবাসী সাঁওতালদের চার্চের যাবতীয় কার্য পরিচালনার কাগজপত্র, সভা-সমিতি, মিটিং ও প্রার্থনা রোমান বর্ণমালায় লিখিত সাঁওতালী ভাষার ব্যবহার, চর্চা ও সংরক্ষণ করে আসছে।

৫. ‘বাংলাদেশ নর্দান ইভানজেলিক্যাল লুথারেন চার্চ’ (বিএনইএলসি)-এর আওতাধীন ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাঁওতালী বর্ণমালায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করে সাঁওতালী ভাষার সাবজেক্ট পড়ানো হচ্ছে।

৬. ‘তাবিথা সংবাদ’ নামে সাঁওতালী বর্ণমালায় দ্বি-মাসিক সাঁওতালী প্রকাশনা চলমান রয়েছে।

৭. আজ থেকে প্রায় ৩৬ বছর আগে ১৯৮০ খ্রি. Santal Education Center দিনাজপুর থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ছেলেমেয়েদের সাঁওতালী ভাষায় অক্ষরজ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে Hor-Pahil Puthi  (বঙ্গানুবাদ-‘জেনে নেয়ার পথ- প্রথম পুঁথি’) প্রস্তুত করেছিলেন শ্রী যোসেফ সরেন, শ্রী বেঞ্জামিন সরেন এবং ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উপযোগী এবং আদিবাসী সাঁওতালী বান্ধব কার্টুন এঁকেছিলেন Julie Warren. সতর্কভাবে লক্ষ্য করেছি যে, ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে পাঁচ হাজার এবং ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে পাঁচ হাজার কপি ছাপানো হয়। আমাদের ছেলেমেয়েরা এরূপ বেশ কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করে সাঁওতালী ভাষা পড়তে, লিখতে এবং শুদ্ধ উচ্চারণ রপ্ত করতে পারে। তাই সাঁওতালী বর্ণমালায় পাঠ্যপুস্তক ছাপানো যৌক্তিক দাবি।

৮. সাঁওতালী ভাষায় পূর্ণাঙ্গ অভিধান রয়েছে।

৯. আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশে সাঁওতালী বর্ণমালা সাঁওতালী ভাষা ও সাহিত্য চর্চা সহজ হবে। কারণ যে কোন কম্পিউটারে Arial Unicode-MS Font I Santal font রয়েছে। আবার হড় কাথা নামক সাঁওতালী সফটওয়্যারের মাধ্যমে সহজে সাঁওতালী ভাষা লেখা যায়।

১০. রোমীয় সান্তালী লিপিতে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ সব পরিষ্কার করে পৃথক পৃথকভাবে লেখা যায়। ফলে ভাষার ধ্বনিগুলো পৃথক পৃথক ভাবে চেনা যায়।

১১. বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও ভারতসহ বিশ্বের সাঁওতালদের মধ্যে আন্তসংযোগ সহজ হবে।

পরিশেষে এই ভাষার মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি বিশেষ অনুরোধ সাঁওতাল শিশুদের জন্য সাঁওতালী ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে উপরোক্ত যৌক্তিকতাগুলো বিবেচনাপূর্বক সাঁওতালী বর্ণমালায় ব্যবহার করে নিজস্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের পথ সুগম করতে এবং সুযোগ দান করতে আপনার মর্জি হয়।’

সাঁওতালদের প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকের বর্ণমালা বাংলা কিংবা রোমান বর্ণমালা অথবা অলচিকি বর্ণমালা নাকি দেবনাগরী হবে; সেটি এ দেশের সাঁওতাল জনগোষ্ঠীই নির্ধারণ করবে, সেটিই প্রত্যাশিত। ভাষার বর্ণমালা নিয়ে রাজনীতির প্রভাব কিংবা কোনো মতাদর্শকে চাপিয়ে দেয়া প্রক্রিয়া সুফল বয়ে আনতে পারে না। ১৫৪ বছর এগিয়ে থাকা সাঁওতালী ভাষার রোমান বর্ণমালাকে বিতর্ক জড়িয়ে আমরা কী সামনের দিকে এগোবো নাকি পেছনের দিকে মুখ ঘুরিয়ে পেছনেই হাঁটছি; সেটি ভাবার সময় এসেছে!

 

সূত্র: দৈনিক সংবাদ

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044300556182861