কুমিল্লার তিতাস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে লোকবল–সংকটে দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এখানে সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ থাকলেও বাস্তবে আছেন মাত্র তিনজন। বাকি চারজনকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) সংযুক্ত করে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ উপজেলায় ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯টি মাদ্রাসা, ১টি কলেজ ও ১টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে। এগুলোতে অন্তত ১৩ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, তিতাস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক, নৈশপ্রহরী ও একাডেমিক সুপারভাইজারের পদ রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারা চৌধুরী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি), ২০১০ সাল থেকে অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম মাউশির স্নাতক পর্যায়ে উপবৃত্তি প্রকল্পে, একই বছর থেকে অফিস সহায়ক পারুল আক্তার মাউশির পরিকল্পনা উন্নয়ন প্রকল্পে এবং চলতি বছরের ১ মে থেকে নৈশপ্রহরী খন্দকার আক্তার হোসেন মাউশির বাজেট প্রণয়ন প্রকল্পে সংযুক্ত রয়েছেন। উপজেলায় এখন শুধু কর্মরত আছেন সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল গণি, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা লুত্ফুর রহমান খান এবং একাডেমির সুপারভাইজার সারজিনা আক্তার। এ অবস্থায় কাজ করতে গিয়ে তিন কর্মকর্তাকে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল গণি বলেন, অর্ধেকের বেশি পদ খালি। এতে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে অফিস সহকারীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটিও শূন্য।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারা চৌধুরী বলেন, ‘দাপ্তরিক কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমি অ্যাটাচমেন্টে (সংযুক্তি) আছি।’
তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মকিমা বেগম বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মজিদ বলেন, ‘মাউশি থেকেই ওই চারজনকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটা জেলা কার্যালয় থেকে যায়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় সেখানকার দাপ্তরিক কাজসহ বিদ্যালয় মনিটরিংয়েও সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি মাউশি কর্তৃপক্ষ জানে। এ ক্ষেত্রে আমার করার কিছু নেই।’