বিনা অনুমতিতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ৫টি ল্যাপটপ প্রতিষ্ঠানের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত নোটিশে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, দুপচাঁচিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারিভাবে সরবরাহকৃত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৭টি ল্যাপটপ কম্পিউটার সহ ২০০২ সালে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত একটি কম্পিউটার, ২০০৬ সালে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত ৬টি কম্পিউটার, ৩টি প্রিন্টার, ২০১৩ সালে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত একটি দোয়েল ল্যাপটপ কম্পিউটার বিদ্যলয়ে অবস্থিত ছিল। এর মধ্যে ৫ ল্যাপটপ ও ৪টি মনিটর, ২টি প্রিন্টার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার কর্তৃক আত্মসাত করার অভিযোগ পেয়ে গত ১৭ আগস্ট বুধবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একরামুল হক সরকার ও একাডেমিক সুপারভাইজার মাহমুদ হোসেন স্কুলটি পরিদর্শনে গেলে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ১৪ আগস্ট রোববার ইউএনও শাহেদ পারভেজ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একরামুল হক সরকার দুপচাঁচিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত ১৭টি ল্যাপটপ কম্পিউটারের মধ্যে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার ৫টি ল্যাপটপ কম্পিউটার বিক্রয় করেছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে ১২টি ল্যাপটপ কম্পিউটার দেখতে পান।
৫টি ল্যাপটপ কম্পিউটার নেই কেন তাঁরা এ প্রশ্ন ওই প্রধান শিক্ষককে করলে তিনি, ওই ৫টি ল্যাপটপ কম্পিউটার নষ্ট বিধায় সার্ভিসিং করার জন্য বগুড়ার আলামিন কমপ্লেক্সের একটি দোকানে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ইউএনও ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত করেন। তখন তাঁরা ওই প্রধান শিক্ষককে নিখোঁজ ৫টি ল্যাপটপ কম্পিউটার বিদ্যালয়ের ল্যাবে স্থাপন করার নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে ৫টি ল্যাপটপ কম্পিউটার বিদ্যালয়ের ল্যাবে স্থাপন করা হলেও ইতিপূর্বে উধাও হওয়া ৪টি মনিটর, ২টি প্রিন্টার এর কোনো সন্ধান পাওয়ার যায়নি বলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজার সূত্রে জানা গেছে। এ দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ৫টি ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অপরাধে ওই বিদ্যালয়ে ১৮ আগস্ট অনুপস্থিত থাকা প্রধান শিক্ষক আবুল বাশারকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা একরামুল হক জানিয়েছেন।
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশারকে জানান, বিষয়টি ভিত্তিহীন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এগুলো করা হচ্ছে। গত ১৮ তারিখে আমি বিদ্যালয় সংক্রান্ত কাজে বাহিরে ছিলাম। এ বিষয়ে আমি বিবৃতি দিব।