সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর শিবির ক্যাডারদের হামলার প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটের শরণখোলায় ছাত্রলীগের নতুন আহবায়ক ও পদবঞ্চিত দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে শরণখোলা সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনকালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ধাওয়া-পল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ কলেজ থেকে বেরিয়ে উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। বর্তমানে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. হাসান মীর জানান, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতার ওপর শিবির ক্যাডারদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে তারা কলেজে যান। এসময় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদ আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে রায়েন্দা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মিজানুর রহামনের ছেলে মো. রাফিন, রাজাকারের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা একে এম ইউসুফের প্রোপুত্র ও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক কাওসার হাওলাদারের ছেলে রুমান, গোলাবুনিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোমিন মোল্লার ছেলে রেজাউলসহ কতিপয় নামধারী ছাত্রলীগ তাদেরকে মিছিল করতে বাধা দেয়। এসময় তাদের বাধা উপেক্ষা করে কলেজ ক্যাম্পাস ও রায়েন্দা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
অপরদিকে কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ হাওলাদার জানান, তারা কলেজ ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলো। এমন সময় উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়কের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নামধারীরা তাদের মিছিলে বাধা দেয়। এবং যারা ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই তারা মিছিল করতে পারবে না বলে তাদেরকে কলেজ থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। পরে ওইসব ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কলেজ ও রায়েন্দা বাজারে মিছিল করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। তাদের গ্রুপে জামায়াত-বিএনপির সন্তান বা অছাত্র নেই বলে তিনি দাবি করেন।
শরণখোলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিমুল মোল্লা জানান, কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরবর্তিতে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।