সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।
রোববার দুপুর ২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ও সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য উত্তম কুমার দাশ সমর্থিত সহ-সভাপতি আসিফ হোসেন রনি-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১টার দিকে ফুটবল টুর্নামেন্টের কমিটি গঠনের সময় উভয়পক্ষের জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে একাডেমিক ভবন ডি এর সামনে ইমরান খানের অনুসারী কামরুলকে (সমাজকর্ম) মারধর করে রনি-সাখাওয়াত গ্রুপের অনুসারী মাহবুব (লোক-প্রশাসন)। এরপর দেশীয় অস্ত্রসাজে সজ্জিত হয়ে উভয়গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আহতরা হলো, রনি-সাখাওয়াত গ্রুপের ফাইয়াজ, শোভন, ফয়সাল এবং ইমরান গ্রুপের সজীব, কামরুল ও মনোয়ার।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, দুপুরে কামরুল ও মাহবুবের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অস্ত্রসাজে সজ্জিত হয়ে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।
ইমরান খানের সমর্থক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ বলেন,আমাদের কর্মী কামরুল পরীক্ষা দিয়ে বের হলে মাহবুব হামলা করে। এরপর আমরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে শাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, সাময়িক ভুল বোঝাবুঝির কারণে জুনিয়রদের মাঝে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য উত্তম কুমার দাশ বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নির্দেশে আমরা পরিস্থিতির সমাধান করেছি। শোকের মাসে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
জালালাবাদ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানান, দুই গ্রুপকে নিবৃত্ত করতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার জানান, সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আলোচনা করে বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।