শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের নামে হয়রানিতে ছাত্রী অজ্ঞান হওয়ার ঘটনাকে সাজানো বলে দাবি করা হয়েছে। নৃবিজ্ঞান বিভাগের ভিকটিম ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধেই এবার অভিযোগ দেয়া হয়েছে। র্যাগিং ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় একদিন পর প্রক্টর বরাবর ওই অভিযোগ দিয়েছেন ওই বিভাগের অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী। তারা অভিযোগে ওই বিভাগের ৭৩ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর ও নিয়েছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার র্যাগিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষার্থী প্রক্টর অফিসে লিখিত পাল্টা অভিযোগ দেন যেখানে ওই ঘটনাকে সাজানো দাবি করা হয়েছে। এসময় মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশকিছু স্ক্রিনশট প্রক্টর বরাবর জমা দেন। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য অন্য আরেকটি পক্ষের চাপে ওই ছাত্রী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামকে র্যাগিং অবহিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
অভিযোগের বিষয়টি বানোয়াট ও মিথ্যা। ঐদিন ব্যাচের সকলেই উপস্থিত থাকলেও শুধু মাত্র তিনজনকে টাগের্ট করে ওই ছাত্রী অভিযোগ দিয়েছেন এমন অভিযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে তাদের সামজিক ও মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলেও তারা উল্লেখ করেন। তারা উল্টো ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযোগকারী ছাত্রী। তিনি বলেন, কারো দ্বারা প্রভাবিত হননি তিনি। যা সত্য তাই তিনি অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রী একই বিভাগের তিন শিক্ষার্থী ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রিয়াদ, আদনান এবং হাফিজের নামে র্যাগিং ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যৌন হয়রানির এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।