শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলে চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ৪-৫ জন চোর গ্রিল কেটে এ চুরির ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা। এ সময় চারটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন খোয়া যায়।
এ ঘটনায় বেলা ১২টা থেকে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. রাশেদ তালুকদার, প্রভোস্ট শরীফা ইয়াসমিন এবং প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি বৈঠকে বসেছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্য্নত পর্যন্ত বৈঠকটি চলছিলো।
চুরির ঘটনায় অর্থনীতি বিভাগের দুই ছাত্রী, জিন প্রকৌশল বিভাগের দুজনসহ মোট পাঁচ ছাত্রীর চারটি ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন খোয়া গেছে বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, তিন তলার একটি এবং চারতলার দু’টি কক্ষের (৪০১, ৪০২) ভেন্টিলেটরের ভেতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে ভেতর থেকে আটকানো দরজার ছিটকিনি খুলে ফেলে। হলের ছাত্রীরা অভেযোগ করেন, চুরি না হয়ে মেয়েদের সম্ভ্রমহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারতো। হলের এক ছাত্রী দেখে ফেলায় চোরের দল ছাদ দিয়ে নেমে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হলের প্রহরী মো. রাসেল বলেন, চুরির ঘটনায় আমরা টের পাইনি। ছাত্রীদের চিৎকার-চেচামেচি শুনে আমরা হইহুল্লোড় ভেবেছি। চোরেরা কিভাবে মূল ফটক পার হয়ে ভেতরে ঢুকলো তা বুঝতে পারিনি।
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন তালুকদার বলেন, ‘আমাদের ধারণা হলের ভেতর থেকে কেউ একজন সহায়তা না করলে এ ধরনের চুরি সম্ভব নয়।’