যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দরিলাকুড়ে মাদ্রাসায় কাঠের গুঁড়ির সঙ্গে পায়ে তালা দিয়ে আটকে রাখা সেই ছাত্রের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি ওই ঘটনায় দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে আদালত।
শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, যশোরের জেলা প্রশাসক, বাঘারপাড়া উপজেলার দরিলাকুড়ে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. সেলিমের অবকাশকালীন হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ ও রুল দেয়।
দশ বছর বয়সী ওই শিশুকে তিন বছর আগে দরিলাকুড়ে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করেন তার বাবা। মাদ্রাসার হুজুর জাহাঙ্গীর মারপিটসহ নানাভাবে তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন বলে শিশুটির অভিযোগ। সে বলেছে, আগেও একাধিকবার মাদ্রাসা থেকে পালানোর চেষ্টা করায় ৩/৪ মাস আগে তার পায়ে মোটা শিকল বেঁধে তালা লাগিয়ে ১০ কেজি ওজনের কাঠ ঝুলিয়ে দেন সেই শিক্ষক।
গত ১৭ এপ্রিল ওই কাঠ ও শেকল নিয়েই কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসে চড়ে সে মাগুরা চলে এলে স্থানীয়রা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তখনই বিষয়টি সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়। ওই ঘটনা নিয়ে ২০ এপ্রিল একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার আবু খালেদ আল মামুন।
এ সময় রাস্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ আর এম হাসানুজ্জামান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালত রুলসহ আদেশ দেয়।