শিক্ষককে মারধর স্কুল সভাপতির - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষককে মারধর স্কুল সভাপতির

দৈনিক শিক্ষা ডেস্ক |

স্কুলে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। আর তার জেরে স্কুলের মধ্যেই চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে চড়-থাপ্পড়, ঘুষি মারা হল পঞ্চাশোর্ধ্ব টিচার ইনচার্জকে। ফাটিয়ে দেওয়া হল তাঁর নাক।

খানাকুলের কেদারপুর হাইস্কুলের টিচার-ইনচার্জ অনির্বাণ রায়ের ‘অপরাধ’, তিনি নতুন পরিচালন সমিতির দাবিমতো ইস্তফা দেননি। সেই কারণে বুধবার বিকেলে ওই হামলার সময়ে জোর করে তাঁকে দিয়ে পদত্যাগপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলের সভাপতি অভিজিৎ দলুই-সহ চার জন। গোলমালের কথা শুনে ওই বিকেলে স্কুলে পুলিশ যায়। পুলিশই অনির্বাণবাবুকে উদ্ধার করে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে গ্রেফতার করা হয় কানাই সিংহ নামে পরিচালন সমিতির এক সদস্যকে।

গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত পড়ুয়ারা। তারা ভেবে পাচ্ছে না, কী কারণে এ ভাবে তাঁদের ‘স্যার’ মার খেলেন! মানসিক ভাবে পুরোপুরি বিধ্বস্ত অনির্বাণবাবুর খেদ, ‘‘নতুন পরিচালন সমিতির স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে কিছু আপত্তি তুলেছিলাম। তাই ওরা আমাকে সরিয়ে নতুন কাউকে টিচার ইনচার্জ পদে বসাতে চায়। এ জন্য বারবার ইস্তফা দেওয়ার কথা বলছিল। কিন্তু তার জন্য যে গায়ে হাত তুলবে ভাবিনি।’’ পক্ষান্তরে, মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে গিয়ে স্কুল সভাপতি অভিজিৎবাবুর দাবি, ‘‘স্কুলে নানা দুর্নীতি রুখতেই টিচার ইনচার্জ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁকে মারধর করা হয়নি।’’ দুর্নীতির কথা মানেননি অনির্বাণবাবু।

খানাকুল-১ ব্লকের বিদ্যালয় পরিদর্শক আবিদ হাসান বলেন, ‘‘নিন্দনীয় ঘটনা। বিভাগীয় তদন্তের প্রয়োজন। গোটা বিষয়টি জেলা স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বাকি তিন অভিযুক্ত পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত আগের পরিচালন সমিতি অনির্বাণবাবুকে টিচার ইনচার্জ হিসেবে মনোনীত করেছিল। তিনি বছর দুয়েক ওই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সম্প্রতি স্কুলে নতুন পরিচালন সমিতি গঠন হয়েছে। নানা বিষয় নিয়ে দুই সমিতির নেতাদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। বুধবার তা বড় আকার নেয়। এ দিন বেলা দেড়টা নাগাদ জনা কুড়ি লোক নিয়ে অভিজিৎবাবু স্কুলে আসেন। বিকেলের দিকে অনির্বাণবাবুর ঘরে ওই ঘটনা।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এই সরকার আসার পরেই রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষকে মারধর করা হয়েছিল। ছ’বছর পরে সেই মারধর তো আছেই, জোর করে ইস্তফাপত্রও লেখানো হচ্ছে।’’ এবিটিএ-র রাজ্য সম্পাদক কৃষ্ণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্যের নতুন নজির।’’

 গোটা ঘটনায় শাসকদল কড়া হওয়ারই বার্তা দিয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত জানান, দলের যে মাপের নেতাই হোন, ওই শিক্ষকের গায়ে যাঁরা হাত দিয়েছেন, তাঁদের রেয়াত করা হবে না। পুলিশ সুপারকে অভিযুক্ত সকলকে গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068950653076172