অনেক দিনের স্বপ্নপূরণ হলো ২০১২ সালের সেরাকণ্ঠ চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রামের মেয়ে কণ্ঠশিল্পী বৃষ্টি মুৎসুদ্দির। ছোটবেলা থেকেই বৃষ্টির স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতার মতো মহান পেশার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার। অবেশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো তার।
চট্টগ্রামের সদরঘাটে অবস্থিত ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টে লেকচারার হিসেবে যোগ দিয়েছেন বৃষ্টি। গেল ১ আগস্ট তিনি লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। আর এ দিনই যেন জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নটি পূরণ হলো তার। বৃষ্টির শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের পর থেকে যেন তার পরিবারে বইছে খুশির বন্যা।
বিশেষত তার এমন পেশায় যোগদানে তার বাবা রঞ্জিত কুমার মুৎসুদ্দি এবং মা ডা. শেলী বড়–য়া ভীষণ খুশি। পড়াশোনার জন্য মেয়েকে রাজধানীর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে হতো বিধায় বাবা-মাকে ছেড়ে রাজধানীতে থাকতে হতো বৃষ্টির। কিন্তু এখন যেহেতু চট্টগ্রামেই শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিয়েছেন তাই বিয়ের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বাবা-মার পাশে থেকেই চাকরি করতে পারবেন।
জীবনের স্বপ্নপূরণ হওয়া প্রসঙ্গে বৃষ্টি মুৎসুদ্দি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় জড়িত হব। যে কারণে ২০১২ সালে সেরাকণ্ঠে চ্যাম্পিয়ন হলেও পড়াশোনার কারণে গানে খুব বেশি নিয়মিত হতে পারিনি আমি। পড়াশোনা নিয়েই আমার যত ভাবনা ছিল, কিভাবে ভালো ফলাফল করা যায় সেই ভাবনাই ছিল সারাক্ষণ। অবশেষে শিক্ষক হতে পেরেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। আমি কৃতজ্ঞ আমার বাবা-মার কাছে, কারণ তারা আমাকে সবসময়ই উৎসাহ দিয়েছেন।
আর আমার দিদি নির্বাচিতার কথা বলতেই হয়, কারণ তার কাছেই আমার গানে হাতেখড়ি। আমার জীবনে চলার পথে সব সিদ্ধান্ত দিদির কাছ থেকেই নিয়েছি সবসময়। আমার পাশে থেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন সবসময়। সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞ আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম স্যার এবং আমার বিভাগের প্রধান জিয়া স্যারের কাছে। তারা শুরু থেকেই আমাকে সহযোগিতা করে আসছেন।’ বৃষ্টি জানান তিনি এইচএসসি, বিবিএ, এমবি’র ক্লাস নেন নিয়মিত। এদিকে আজ রাত ১১.২০ মিনিটে আরটিভির সরাসরি সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘মিউজিক স্টেশন’-এ সঙ্গীত পরিবেশন করবেন বৃষ্টি মুৎসুদ্দি।
বৃষ্টি তার নিজের ভালো লাগার এবং দর্শকের অনুরোধের গান গাইবেন আজ। বৃষ্টি চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে এসএসসি এবং হাজী মুহাম্মদ মোহসীন কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি কমার্স বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এদিকে আসছে ঈদের পর বৃষ্টির দেশের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে স্টেজ শো’তে অংশগ্রহণের জন্য।