‘কিছু শিক্ষক ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিং করান’ শিরোনামে ২৩-৯-২০১৭ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাকে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একটি অনুষ্ঠানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার নিয়ামক শক্তি হচ্ছে শিক্ষক। সেই শিক্ষকদের একটি অংশ ক্লাসে না পড়িয়ে বাসায় কোচিং করান। অভিভাবকরাও তাঁদের উত্সাহিত করেন।
আমার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র। নারায়ণগঞ্জ ডিএনডি এলাকার একটি স্কুলে পড়ে। স্কুলটিতে বালিকাদের জন্য সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ‘মর্নিং শিফট’ এবং বালকদের জন্য দুপুর ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ‘ডে শিফট’ চালু আছে। বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতিতে ১৩০০ নম্বরের জন্য ১২টি বিষয় ক্লাসে পড়াতে হয়। আগে যখন ১০০০ নম্বরের জন্য ৮টি বিষয় পড়ানো হতো, তখনো স্কুলে ঐ একই সময়ের ২টি শিফট চালু ছিল। লক্ষণীয় বিষয় হলো, ৩০০ নম্বর (১০০ নম্বরের ২টি ও ৫০ নম্বরের ২টি)-এর ৪টি বিষয় নতুন যোগ হয়েছে।
কিন্তু ক্লাসের সময় বাড়েনি। ফলে আগের বিষয়গুলোর ক্লাস কমিয়ে নতুন ৪টি বিষয়ের ক্লাস দিতে হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, কর্তৃপক্ষ এসএসসি পরীক্ষা থেকে ১৫০ নম্বরের দুটি বিষয় বাদ দিয়েছেন। কিন্তু স্কুল পর্যায়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে বিষয় দুটি চালু আছে। এ পরিস্থিতিতে এ বছর ঐ স্কুলে ডে শিফটে এ পর্যন্ত ‘উচ্চতর গণিত’-এর মাত্র ১০টি ক্লাস হয়েছে। ‘জীববিজ্ঞান’-এর অবস্থাও অনুরূপ।
আমি লক্ষ করেছি, বিভিন্ন কারণে স্কুলের শেষের ক্লাসগুলো কম হয়। তাছাড়া এ বছর বৃষ্টি এবং ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে কিছু ক্লাস কম হয়েছে। তাই আমি কোনো ক্রমেই শিক্ষকদের দোষ দিতে পারি না। আবার শিক্ষা পদ্ধতি সৃজনশীল হওয়ায় আমিও ছেলেকে কোনো রকম সাহায্য করতে পরি না। কারণ অভিজ্ঞ শিক্ষকদেরও সৃজনশীল পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্লাসে পড়াতে হয়। সুতরাং কোচিংকে উত্সাহিত করা ছাড়া উপায় কী!
এ অবস্থার পরিবর্তনে নতুন ৪টি বিষয়ের জন্য অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং ক্লাসের সময় বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বিষয়টির প্রতি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. কামাল উদ্দিন বাহাদুর
দাপা ইদ্রাকপুর, ফতুল্লা,
নারায়ণগঞ্জ