শিক্ষকদের দাবি সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখা উচিত - Dainikshiksha

শিক্ষকদের দাবি সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখা উচিত

অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ |

কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে চাঁদার হার বাড়ানো নিয়ে দেশব্যাপী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের একটা বিরাট অংশের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবগত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের উদ্যোগে তা স্থগিত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় দৈনিকগুলো চাঁদা বৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষের খবর ছেপে আসছিল এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছিল। এসবের মূলে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে বর্ধিত হারে চাঁদা আদায় সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন। এতদিন শিক্ষকরা এ দুই ফান্ডে ৬ শতাংশ চাঁদা দিতেন। সিদ্ধান্ত স্থগিত না হলে তাদের দিতে হতো মূল বেতনের ১০ শতাংশ করে। কিন্তু এর জন্য বাড়তি কোনো কোনো সুবিধা তারা পেতেন না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, দেশে বর্তমানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা মিলিয়ে ২৬ হাজার ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৩২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতি মাসে সরকার প্রদত্ত অর্থ থেকে অবসর ও কল্যাণ সুবিধা বাবদ যথাক্রমে ২ ও ৪ শতাংশ টাকা কেটে রাখা হয়। প্রতি মাসে ৫ শতাধিক বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে যান। তাদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ দিতে প্রয়োজন ৩৬ কোটি টাকা। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন থেকে প্রাপ্ত চাঁদা ও ব্যাংকের মুনাফা থেকে এ পরিমাণ অর্থ আয় হয়। ফলে মাসে যতজন শিক্ষক-কর্মচারী এ দুই ফান্ড থেকে অর্থ পেতে আবেদন করেন, তাদের মাত্র অর্ধেককে তা দেয়া সম্ভব হয়। বর্তমানে জমাকৃত আবেদনের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ২০১২ সালে অবসরে গিয়ে এ অর্থের জন্য আবেদনকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদন অনুযায়ী বর্তমানে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার সম্প্রতি চাঁদা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের দুই সচিবের প্রকাশিত বক্তব্যে জানা যায়, দুই ফান্ডে চাঁদা দ্বিগুণ হলে হয়তো সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে। না হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে। আসলে যে যাই বলুক মূল সমস্যা দুটি ফান্ডে অর্থ সংকটকে ঘিরে। শুধু শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রদত্ত চাঁদা দিয়ে কি তার সমাধান সম্ভব? না সমীচীন? প্রশ্ন হল অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি মেটাতে টাকা আসবে কোথা থেকে? কে দেবে?

শিক্ষকদের অর্থে অবসরকালীন সুবিধা, ইউনেস্কোর অবস্থান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

যারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের নিজেদের অর্থে অবসরকালীন সুবিধা এক বা একাধিক ফান্ড থেকে গ্রহণের পক্ষে যৌক্তিকতা ও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন, তা কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০, ইউনেস্কো-আইএলও’র প্রস্তাব ও সুপারিশমালার (যাতে সরকারের অনুমোদন আছে ও সরকার স্বাক্ষর করেছে) সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ? এককথায় এর জবাব, না। সরকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নয়, যেখানে লাভ আছে সেখানেই সরকার আগ্রহী- বিষয়টি মোটেই তেমন নয়। লাভ-লোকসানের প্রশ্ন সেখানে অবান্তর। জনগণের কল্যাণই সেখানে মুখ্য। এ প্রাসঙ্গিকতায় প্রথমেই স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, শিক্ষা যেহেতু রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব এবং পাঠদানকারী শিক্ষক ও পাঠদানে সহায়ক শক্তি শিক্ষাকর্মীরা শুধু ইউনেস্কো অথবা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বিবেচনায় নয়- শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্র থেকে অবসরকালীন পূর্ণ পেনশন পাওয়ার অধিকারী। যারা সরকারে ও প্রশাসনে আছেন, শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধিত্বের দাবিদার তাদের সবাইকে আক্ষরিক অর্থে ও মর্মচেতনায় তা উপলব্ধি করতে হবে।

শিক্ষকের মর্যাদা সংক্রান্ত বিশেষ আন্তঃসরকার সম্মেলনের সুপারিশ ১৯৬৬-এর ১০-এর গ-এ বর্ণিত : যেহেতু সাধারণের জন্য শিক্ষা একটি মৌলিক গুরুত্বসম্পন্ন পরিষেবা, সে জন্য এটিকে রাষ্ট্রের একটি দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ১০ এর ঘ-এ বর্ণিত : যেহেতু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে শিক্ষা একটি আবশ্যকীয় উপাদান, সুতরাং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে শিক্ষা পরিকল্পনাকে সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ১২৬. (১) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সামাজিক নিরাপত্তা ন্যূনতম মান) কনভেনশন, ১৯৫২-এ অন্তর্ভুক্ত সব আনুষঙ্গিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা সামাজিক নিরাপত্তা দ্বারা সুরক্ষিত থাকবেন। এগুলোর মধ্যে আছে চিকিৎসাসেবা, অসুস্থতাজনিত ভাতা, বেকারত্ব ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, কর্মাবস্থায় আঘাতপ্রাপ্তিজনিত ভাতা, পারিবারিক ভাতা, মাতৃত্বজনিত ভাতা, অক্ষমতাজনিত ভাতা, জীবিত-নির্ভরশীলদের জন্য ভাতা। (২) শিক্ষকদের প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধার মান হবে কমপক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সামাজিক নিরাপত্তা (ন্যূনতম মান) কনভেনশন, ১৯৫২-এর মতো। (৩) শিক্ষকদের সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা অধিকারের বিষয় বলে গণ্য হতে হবে। ১৩৪. বার্ধক্যকালীন ভাতার হার সর্বশেষ পেনশনের সঙ্গে এমনভাবে সম্পর্কিত হতে হবে, যেন শিক্ষকের জীবনমান বজায় রাখার ক্ষেত্রে তা পর্যাপ্ত হয়।

বেসরকারি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পূর্ণ পেনশন শতভাগ যৌক্তিক

সমযোগ্যতা, সমঅভিজ্ঞতার অধিকারী হয়ে একই সিলেবাসে পাঠদানকারী সরকারি শিক্ষকদের অনুরূপ এবং সরকারি কর্মচারীদের চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো অংশে কম দায়িত্ব পালন না করায় অভ্যস্ত বেসরকারি শিক্ষাকর্মীদের সরকার থেকে পূর্ণ পেনশন পাওয়াটা শতভাগ যৌক্তিক। তা একদিনে সম্ভব নয়। সে জন্য পর্যায়ক্রমিক ও অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে অবসর বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদার হার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে একটাই দাবি এসেছে, তা হল এটা প্রত্যাহার করতে হবে। তবে দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী ১১টি সংগঠন নিয়ে গঠিত জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চাঁদার হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে প্রত্যাহারের দাবি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের অর্থাৎ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ৬টি প্রস্তাব রেখেছে : ১. কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের বর্তমান ও সাবেক সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধিদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা ২. সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে ফান্ড দুটির আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত মতামত আহ্বান ৩. প্রতি বাজেটে সরকার থেকে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা নিশ্চিতকরণে সহায়ক অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ ৪. কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ ৫. ব্যাংক বীমা শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বা সিএসআর কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় সাধন ৬. কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি করতে বন্ড চালু।

১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ও মরহুম এএসএইচকে সাদেক শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব হিসেবে ট্রাস্টের আয়বর্ধক বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের প্রস্তাব পেশ করি। যার মধ্যে ছিল শিক্ষক ব্যাংক স্থাপন, জমি ক্রয়, প্রতি জেলা উপজেলায় কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থার সঙ্গে হোস্টেল স্থাপন ইত্যাদি। কিন্তু এর মধ্যে সরকার পরিবর্তন হয়ে যায়। আমার প্রস্তাবগুলো সরকার পরিবর্তনের পর কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় আসেনি। কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যরাও সেসব প্রস্তাবের অনুকূলে সেভাবে ছিলেন না।

সরকারি বেসরকারি সর্বজনীন পেনশন প্রসঙ্গ

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত তিন বছর ধরে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার কথা বলে আসছেন। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেট বক্তৃতায়ও এ বিষয়ে তার ঘোষণা রয়েছে। সেখানে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি পেনশনাররা দেশের সমগ্র জনগণের একটি ক্ষুদ্রাংশ মাত্র। তাই সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি সবার জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুকরণের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে সাড়ে ১১ লাখ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী পেনশন সুবিধা ভোগ করছেন। এদের পেছনে বছরে খরচ হয় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এতে সরকারের আর্থিক চাপ তৈরি হয়। এ চাপ প্রশমনে পেনশন তহবিল গঠন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন ব্যবস্থাপনার জন্য পেনশন তহবিল ও ‘পেনশন ফান্ড’ ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ কর্তৃপক্ষকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফান্ড প্রদান করা হবে। এ ফান্ড থেকে পেনশন প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে পেনশনভোগীদের জন্য কল্যাণমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

পরিশেষে এ কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা দরকার, সরকারি হোক, বেসরকারি হোক শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষাকর্মীদের পূর্ণ পেনশন পাওয়াটা তাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিধিবিধান সমর্থিত। গতানুগতিকতায় সমর্পিত না হয়ে চলমান বিশ্ব ও পরিবর্তনের স্রোতধারায় সম্পৃক্ত হওয়া সময়ের দাবি। আমাদের নীতি প্রণেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এ বাস্তবতা অনুধাবন করা দরকার। সেইসঙ্গে শিক্ষক নেতৃত্বের উপলব্ধিতে আসা দরকার যে, অতীতে শিক্ষক নেতৃত্বে বিভেদের কারণে শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নেতৃত্বের বিরোধে কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম ব্যাহত ও বিলম্বিত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ : জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য, প্রবীণ শিক্ষক নেতা।

পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035688877105713