‘শিক্ষকদের বেতন শিক্ষামন্ত্রীর চাইতেও বেশি চাই’ (ভিডিও) - দৈনিকশিক্ষা

‘শিক্ষকদের বেতন শিক্ষামন্ত্রীর চাইতেও বেশি চাই’ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের চাইতেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষা বিশ্লেষক ও দৈনিক শিক্ষাডটকম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান। আগে শিক্ষকদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর মানসম্মত শিক্ষাদানের কথা বলতে হবে। আর শিক্ষার মানের উন্নতি চাইলে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। সব ধরণের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা মন্ত্রী-সচিবের চেয়েও বেশি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (১৭ই মে) বেসরকারি টেলিভিশন এটিএননিউজের শিক্ষা বিষয়ক টকশোতে অংশ নিয়ে উক্ত দাবী করেন শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র অনলাইন জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান। “শিক্ষা: কোয়ালিটি না কোয়ানটিটি” শিরোনামের টকশোতে আরো অংশ নেন সাবেক শিক্ষাসচিব মো: নজরুল ইসলাম খান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন সেসিপ প্রকল্পের জাতীয় পরামর্শক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মো: ছিদ্দিকুর রহমান।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী টকশোতে অংশ নিয়ে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষার কেন্দ্র ও কেন্দ্রসচিব নিয়োগের নীতিমালা থাকা উচিত বলে মত প্রকাশ করেছেন সম্পাদক। ট্রেজারি থেকে কারা প্রশ্ন আনতে যেতে পারবেন এ বিষয়েও সঠিক নির্দেশনা থাকতে হবে। এ ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষাবোর্ডগুলোতে যোগ্য লোক বসানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সদ্য প্রকাশ হওয়া এসএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফল বিপর্যয় সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “২০০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার জন্য পরীক্ষকদের মৌখিক নির্দেশ দেয়া শুরু হয়। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ফলাফল অস্বাভাবিক হয়।  এ বিষয়টি ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে সেসিপ প্রকল্পে নিযুক্ত দেশী-বিদেশী পরামর্শকদের অনুসন্ধানেও বেরিয়ে আসে।”সাবেক শিক্ষা সচিব এন আই খান বলেছেন, খাতা মূ্ল্যায়নের জন্য পরীক্ষকদের মডেল প্রশ্নের উত্তর দেয়া ঠিক হবে না। তাহলে সৃজনশীল থাকলো কোথায়?

এর সঙ্গে মত প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, একটাই মডেল উত্তর দিয়ে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা ঠিক হবে না।

শিক্ষাখাতের ক্ষমতাসীন সরকারের কাজ সম্পর্কে সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, মোটাদাগে সরকারের সাফল্য যেমন: মাধ্যমিকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই, স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, বছরের শুরুতে বই দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার, ডিজিটাল ভর্তি পদ্ধতি ও স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং।
টকশো সঞ্চালকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সম্পাদক বলেন, এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের শিক্ষা-ভাবনা, কর্মসূচি; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা ভাবনাকে ধারণ করেন না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ডেস্কে বসা অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিবরা। একইভাবে শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষাবোর্ডগুলোতে যারা নিযুক্ত রয়েছেন তারা শিক্ষাখাতে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চিন্তা করছেন না। ফলে প্রশ্নফাঁস হচ্ছে কিন্তু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এসব কর্মকর্তাদের কোনো কমিটমেন্ট নেই।

ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ - dainik shiksha অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র - dainik shiksha ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033681392669678