শিক্ষকবিহীন অনুমোদিত জনবল ছাড়াই চলছে - Dainikshiksha

শিক্ষকবিহীন অনুমোদিত জনবল ছাড়াই চলছে

চাঁদপুর প্রতিনিধি |

অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে অর্থাৎ সংযুক্তির শিক্ষক দিয়ে চলছে দেশের একমাত্র মৎস্য ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও অনুমোদিত শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেয়নি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এখন এটি অনেকটা নামেই ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট। যার ফলে পাঠদানে মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। সিলেবাস সম্পন্ন করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীরা।

প্রতিষ্ঠান প্রধান জানালেন, আমাদের কষ্ট হলেও শিক্ষার্থীদের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের অনুমোদিত জনবল নিয়োগ দিলে অবশ্যই বিষয়টি সমাধান হবে।

ইন্সটিটিউট সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর চাঁদপুর মৎস্য ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট থেকে ইতিমধ্যে ৪টি ব্যাচ কোর্স সম্পন্ন করে বের হলেও এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। চার বছরে ৮টি সেমিস্টারে ৫৪টি বিষয়ে পড়ানো হয়।

এসএসসি পাস করে পরীক্ষার পর চার বছরের কোর্স এটি। শুধু একজন শিক্ষক দিয়ে কোনো মতে কোর্স সম্পন্ন করছে প্রতিষ্ঠানটি। অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা বলছে, শিক্ষকরা আন্তরিক কিন্তু তবুও সিলেবাস শেষ করতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় বন্ধের সময় ক্লাস করতে হয়। এছাড়া নিজেদের উদ্যোগেই সিলেবাস শেষ করতে হয়।

সংযুক্তিতে যেসব শিক্ষক আছেন তারাও স্বীকার করেছেন এ সমস্যা ও সংকটের কথা। সংযুক্তিতে থাকা কর্তব্যরত শিক্ষিকা ফারহানা তাসলিমা ও মনোয়ারা বেগম জানান, অনেক বিষয় মাত্র ছয়জন শিক্ষক দিয়ে চালিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। তবুও আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি শিক্ষার্থীরা যাতে কোর্স সম্পন্ন করতে পারে।

মৎস্য ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট, চাঁদপুরের অধ্যক্ষ আ ব ম আখতারুজ্জামান জানান, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার অবগত করেছি কিন্তু কোনো সুরাহা হয় না। তবে অচিরেই এ সমস্যা সমাধান হতে পারে বলে তিনি জানান। এ প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত আসন সংখ্যা ৪০টি। সব আসনেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। কিন্তু কিছুদিন গেলেই কিছু শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।

বর্তমানে ১৩৩ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত অধ্যায়ন করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকের অনুমোদিত পদ রয়েছে ২৮টি। যার সবগুলো পদই শূন্য। মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের দিয়ে সংযুক্তিতে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি শিক্ষার্থীদের।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056850910186768