প্রশ্নের সঠিক উত্তরই দিয়েছিলেন তরুণী শিক্ষিকা। (-১)+ (-১) কত হয়? বলেছিলেন -২। কিন্তু, সেই উত্তর শুনে খেপে ওঠেন প্রশ্নকর্তা। এক ঘর শিক্ষার্থীর সামনে কড়া কড়া দু’চার কথা শুনিয়ে দেন শিক্ষিকাকে।
এখানেই শেষ নয়! এরপর চক-ডাস্টার নিয়ে নিজেই বোর্ডে অংক কষতে শুরু করেন তিনি। শিক্ষিকার ‘ভুল’ ধরিয়ে ওই প্রশ্নকর্তা বলেন, সঠিক উত্তর হবে শূন্য (০)।
পরের প্রশ্ন ছিল, মাইনাস প্লাস মাইনাস (অর্থাৎ দু’টি ঋণাত্মক সংখ্যার যোগফল) কী হবে? এ ক্ষেত্রে অবশ্য উত্তরের জন্য অপেক্ষা করেননি তিনি। নিজেই এর উত্তর দেন। জানান, অবশ্যই প্লাস (অর্থাৎ, দু’টি ঋণাত্মক সংখ্যার যোগফল সব সময় ধনাত্মক) হবে।
এখানে প্রশ্নকর্তা আর কেউ নন, তিনি স্বয়ং ভারতের উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী অরবিন্দ পাণ্ডে। যিনি গত সোমবার হঠাৎ দেহরাদূনের ‘মহিলা ইন্টার কলেজ’ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তখন ক্লাস চলছিল। দ্রুত ঢুকে পড়েছিলেন অষ্টম শ্রেণিতে। অংক ক্লাস নিচ্ছিলেন এক শিক্ষিকা। ক্লাসেই শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন মন্ত্রী। এর পরেই ‘সঠিক’ উত্তর দিতে না পারায় শিক্ষিকাকে বকাবকি করেন। পরে স্কুলের শিক্ষকরা পাঠ্যবইয়ের বদলে বিভিন্ন সহায়িকা বই পড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সে দিনের পুরো ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে সরব রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের সংগঠন। এনডিটিভিকে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রীর আচরণ খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এ ভাবে একজন শিক্ষককে অপমান করা যায় না। নিজে ভুল করে অন্যকে অপমান করেছেন মন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তুলেছে সংগঠন। বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের শিক্ষমন্ত্রীর এমন কাজে সরব কংগ্রেস।
তবে, এত কিছুর পর নিজের অবস্থানেই অনড় মন্ত্রী। উল্টে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, তিনি কোনও ভুল করেননি।
সূত্র: আনন্দবাজার।