ঢাকার দোহার উপজেলার ইকরাশি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষার্থী সাদিকুন্নাহারকে পিটিয়ে (১৩) মেরে আহত করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহম্মদ উল্লাহ। এমনটাই অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীর অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার ধর্ম ক্লাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রধান শিক্ষক ঐ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সে উপজেলার ইকরাশি গ্রামের মো. সেলিমের মেয়ে। জানা যায়, আহত ঐ শিক্ষার্থীর আগামী ১ নভেম্বর জেএসসি পরীক্ষা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ইকরাশী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ক্লাস চলাকালীন সময় ক্লাসে কথা বলার অভিযোগে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহম্মদ উল্লাহ সাদিকুন্নাহারকে মাথায় উপর্যুপরি কয়েকটি চরথাপ্পর মারে। এতে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একলাল উদ্দিন আহমেদ তাকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে চিকিত্সক তাকে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শনিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাদিকুন্নাহার জানায়, তার মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হচ্ছে এবং কানেও সে আগের চেয়ে কম শুনছে।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিত্সক ডাঃ মো. জসিম উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সাদিকুন্নাহার মাথায় ও কানে আঘাত পেয়েছে। অবস্থা স্বাভাবিক হলে তার মাথায় সিটি স্ক্যান করার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক আহম্মদ উল্লাহর বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের মারধর না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও এমন ঘটনা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।