মাদ্রাসার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে এক মাদ্রাসা ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের দেড় মাস পর হাসপাতালের ময়নাতদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাদ্রাসার শিক্ষকই শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখে একটি কক্ষে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ১৬ জানুয়ারি মুক্তাগাছা উপজেলার বিরাশি গ্রামের একটি কওমি মাদ্রাসায়। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক ও তার এক সহযোগী পলাতক।
উপজেলার তারাটি ইউনিয়নের বিরাশি গ্রামের দিনমজুর হিকিম মিয়ার ১০ বছরের বড় ছেলে নাজিম উদ্দিন। একই এলাকার একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে সে লেখাপড়া করত। ঘটনার সময় বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মাদ্রাসাটি বন্ধ ছিল। ইজতেমার দোয়া শেষ করে ওই দিন রাতে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাহবুবুর রহমান মাদ্রাসায় ফেরেন।
পরদিন সকালে শিশু শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দিনকে মাদ্রাসায় আসতে খবর দেন হুজুর মাহবুবুর রহমান। খবর পেয়ে নাজিম উদ্দিন হুজুরের জন্য শীতের পিঠা নিয়ে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়। এর পর থেকে মাদ্রাসা ছাত্র ও হুজুরকে খুঁজে পায় না তার পরিবার। ওই দিনই সকাল ১০টায় দরজা বন্ধ অবস্থায় একটি কক্ষে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নাজিম উদ্দিনের লাশ দেখতে পান তার পরিবার। পরে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার দেড় মাস পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট গতকাল রোববার (৫ই মার্চ) থানা পুলিশের হাতে পৌঁছে। এতে ধরা পড়ে, শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্র নাজিম উদ্দিনের বাবা শহিদ মিয়া বলেন, মাদ্রাসার হুজুর মাহবুব ও তার এক সহযোগী এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুক্তাগাছা থানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবীর বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হাতে পেয়েছি। এতে যৌন নির্যাতনের পর হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।