রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) একটি বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপিকা। গত ৩১ জুলাই উপাচার্য বরাবর এ অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছেও অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরেন ওই সহকারী অধ্যাপিকা। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই অধ্যাপক।
সহকারী অধ্যাপিকার অভিযোগ, ওই অধ্যাপকের অধীনে তিনি পিএইচডি করছিলেন। ২০১২ সালে পিএইচডি শুরু করার পর প্রথম প্রথম অধ্যাপক তাঁকে এড়িয়ে চলতেন। কিন্তু দুই বছর ধরে তাঁকে একাডেমিকভাবে হেনস্তা ও যৌন হয়রানি করা শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সূচির বাইরেও তাঁকে চেম্বারে ডাকতেন। চেম্বারের কম্পিউটারে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও দেখানোর চেষ্টা করতেন। বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি ও আকার-ইঙ্গিতে যৌন হয়রানি করতেন। এমনকি গত ২৬ এপ্রিল ওই অধ্যাপক তাঁকে সন্ধ্যার পর নিজের বাসায় যেতে বলেন।
এসব ঘটনা তিনি তাঁর স্বামী ও বিভাগের এক সিনিয়র শিক্ষককে জানান।
সহকারী অধ্যাপিকা বলেন, ‘স্যারের (ওই অধ্যাপক) অত্যাচার আমার ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করে। আমি গত ২৬ এপ্রিলই তাঁর অধীনে পিএইচডি না করার সিদ্ধান্ত নিই ও সুপারভাইজার পরিবর্তনের জন্য বিভাগ বরাবর আবেদন করি। ’ অধ্যাপিকা আরো বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম আমার পিএইচডি দ্রুত শেষ করতে। লোকলজ্জার ভয়ে আমি এত দিন মুখ খুলিনি। আমি সুপারভাইজার পরিবর্তন করার কারণে ওই স্যার তাঁর ক্ষমতার জোরে বিভাগের অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে জোট বেঁধে আমাকে নানাভাবে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করা শুরু করেছেন।