যশোরের শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতের আঘাতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বাম চোখ নষ্ট হতে চলেছে। ওই ছাত্রের নাম মাহফুজুর রহমান (১৪)। তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরের পর শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষক জহিরুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রের চাচা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার শার্শার স্বরূপদাহ গ্রামের প্রবাসী আমিনুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান টিফিন শেষে শ্রেণিকক্ষে বসে ছিল। এ সময় শিক্ষক জহিরুল ইসলাম মিলন বেতের লাঠি হাতে ক্লাসরুমে ঢুকে অন্য এক ছাত্রকে পেটাতে যান। এ সময় পেছনের বেঞ্চে বসে থাকা মাহফুজুর রহমানের বাম চোখে লাঠির আঘাত লাগে। এতে তার চোখের মণি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মাহফুজের মা মঞ্জিলা খাতুন বলেন, ‘ডাক্তাররা আমার ছেলের বাম চোখ ব্যান্ডেজ করে রেখেছে। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। শারীরিক সুস্থতা না ফিরলে চোখ অপারেশন করা যাবে না। ’ শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা আইনগতভাবে দণ্ডনীয়। এ বিষয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, ‘ওই শিক্ষক জঘন্য অপরাধ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে শার্শা থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।