শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক এবং ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারি অধ্যাপক সাদিকুর রহমানকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
একই সাথে ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়াও যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহকারি অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুম এবং অভিযোগকারী সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক সুমী আক্তার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগকারী শিক্ষক সুমী আক্তার জানান, দীর্ঘ দিন থেকেই সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সাদিকুর রহমান শ্রেণিকক্ষের মধ্যে নারী শিক্ষক এবং ছাত্রীদের নিয়ে নানা রকমের যৌন হয়রানিমূলক কথা বলে আসছিলেন। তাছাড়া সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পাবার পর থেকে নারী শিক্ষক এবং ছাত্রীদের নিয়ে তার যৌন হয়রানিমূলক আচরণ আরও বৃদ্ধি পায়।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে শুধুমাত্র তার এই অভিযোগ গুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুনে এসেছেন। সর্বশেষ প্রায় দু’সপ্তাহ আগে শিক্ষক সাদিকুর রহমান এর যৌন হয়রানির বিষয়টি হাতে নাতে ধরেন ফেলেন এবং উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগসহ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
সহকারি অধ্যাপক সুমী আক্তার আরো বলেন, এই অভিযোগ তিনি একা করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুই ছাত্রী লিখিতভাবে এই অভিযোগ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগের চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমানকে বাধ্যতামুলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদিকুর রহমান এর সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।