সাতক্ষীরা কলারোয়ার খাজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নির্যাতনকারী ডালিম চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এক মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে দ্বিতীয় বারের মতো আশাশুনি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিমের মনোনীত বিদ্যোৎসাহী সদস্যের নামের তালিকা করে সাংসদের কাছে না পাঠানোয় গত মঙ্গলবার রাত ৯ টায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাহাজ্জাহান আলীকে স্কুল থেকে অপহরণ করা হয়।
পরে তাকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে আটক রেখে নির্যাতন চালান চেয়ারম্যান ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার কাছ থেকে কয়েকটি সাদা অলিখিত কাগজে সাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। দাবি করা হয় ৫ লাখ টাকা। একপর্যায়ে গভীর রাতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ওই প্রধান শিক্ষক বাদি হয়ে চেয়ারম্যান ডালিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসীদের ভয়ে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না। স্বজনরাও রয়েছেন হুমকিতে। বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। স্বজনদের মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
উক্ত বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতিকে দিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবি করানো হয় বলেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অবিলম্বে রাজাকারের ছেলে ডালিম চেয়ারম্যান ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে খাজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয় । অন্যথায় আমরণ অনশনের মতো বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন মানবন্ধনকারীরা।
আশাশুনি উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আগরদাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, বড় দুর্গাপৃর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল হক, বুধহাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলহাজ ইসলাম, পশ্চিম দরগাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন, খাজরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাহাজ্জাহান আলী, আশাশুনি সরকারী মযেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী তানিয়া খাতুন, নাদিয়া সুলতানা প্রমুখ।