একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নির্ভর করে মূলত সে দেশের শিক্ষার গুণগত মানের ওপর। শিক্ষার গুণগত মান একজন শিক্ষকের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেভাবে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে তা কতটুকু কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সময় এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা নির্ণয়ের নতুন মাপকাঠি প্রণয়নের। কারণ, কোনো ধরনের মূল্যায়ন ছাড়া শুধু প্রথম শ্রেণি পাওয়া, কখনো সর্বোচ্চ মানের বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করা শিক্ষক হওয়ার মানদণ্ড হতে পারে না।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাঁধাধরা কিছু বই পড়ে ভালো ফলাফল করা ব্যক্তি সব সময় একজন আদর্শ, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক হতে পারেন না। শিক্ষক সভ্যতার অভিভাবক। তাই একজন শিক্ষককে হতে হবে জ্ঞানী ও গুণী, যিনি শিক্ষার্থীর শিক্ষণ–প্রক্রিয়ায়, জ্ঞান অন্বেষণ ও আহরণে, শিক্ষার্থীর মানসিকতার বিবর্তনে অনুঘটক এবং উন্নত সমাজ তৈরিতে সহায়তা দানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই এ ক্ষেত্রে একাডেমিক ফলাফলের চেয়ে বিভিন্ন গবেষণাপত্রে প্রকাশিত গবেষণাকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। একজন ব্যক্তি শিক্ষক হওয়ার জন্য কতটুকু সামর্থ্য রাখেন, শিক্ষার্থীর মনোজগৎ বোঝার ক্ষমতা তাঁর কতটুকু ইত্যাদি দিক বিবেচনা করা উচিত।
আর একজন শিক্ষকের পড়ানোর দক্ষতা তাঁর একাডেমিক ফলাফল দেখে নয়, তাঁর লেকচার দেখে বুঝতে হবে। একই সঙ্গে নিয়োগে যেসব দুর্নীতি হচ্ছে, সেগুলো বন্ধ করতে হবে। তা না হলে বিদ্যমান ব্যবস্থায়ও ভালোদের এ পেশায় পাওয়া যাবে না।
নাদিয়া বিনতে কবির
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়