শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ অভিযোগের তদন্ত - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ অভিযোগের তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শ্রীমঙ্গল উপজেলার মহাজিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত অপর এক শিক্ষক এর কাছ থেকে চাকরিতে নিয়োগকালে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গঠিত তিন সদস্য কমিটির সরজমিন তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে মহাজিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ, সহকারী পরিদর্শক মেহেদী হাসান ও সহকারী পরিদর্শক মোহাম্মদ মহিবুল হাসান এ তদন্ত পরিচালনা করেন।

তদন্তকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক, অভিযোগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের লিখিত বক্তব্য নেন। জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগকারী মোহাজিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান অভিযোগে উল্লেখ করেন তার ছেলে সরোয়ার হোসেন ২০১৩ সালের মার্চ মাসে ওই স্কুলের সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ দিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাছান সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নেন। ২০১৩ সালের ২৫শে মার্চ তার ছেলের নিয়োগকালে বিভিন্নস্থানে নানা খরচের কথা বলে প্রথমে ২ লক্ষ টাকা নেন। এর পর এমপিওভুক্তির জন্য ৭০ হাজার ও পরে আরো ৮০ হাজারসহ মোট সাড়ে তিন লাখ টাকা ঘুষ নেন। এর কয়েকদিন পর ওই প্রধান শিক্ষক জানান, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে। তাই ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেয়া তার সনদ অবৈধ। ফলে তার এমপিওভুক্ত হবে না। নিয়োগ বাতিল হবে।

তখন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তিনি দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। এরই মাঝে গত ১৭ই মে সরোয়ার হোসেনকে স্কুল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক কামরুল হাছান বলেন, ‘ঘুষ লেনদেনের সাথে আমি জড়িত না। এসসব মিথ্যা ও বানোয়াট। দুইজন শিক্ষকছাড়া বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক আমার হাতে নিয়োগ হয়েছে। উনারই ভাল বলতে পারবেন তাদের বেলায় ঘুষ লেনদেন হয়েছে কিনা’। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ সালের পর থেকে সকল একাডেমিক সনদপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করায় অভিযোগকারীর ছেলেকে ম্যানেজিং কমিটি বিধিমোতাবেক চাকরিচ্যুত করেছে। সে কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন’।

জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সরেজমিনে গিয়ে প্রধান শিক্ষক,অভিযোগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের লিখিত গ্রহণ করেছি। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের বক্তব্য গ্রহণপূর্বক  আমার মতামতসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করব।’

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053110122680664