শিক্ষক নিয়োগে সরাসরি উপাচার্যের ভূমিকা নেই: আরেফিন সিদ্দিক - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক নিয়োগে সরাসরি উপাচার্যের ভূমিকা নেই: আরেফিন সিদ্দিক

ঢাবি প্রতিনিধি |

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগে উপাচার্যের সরাসরি কোন ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। উপাচার্য বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার যে অভিযোগ উঠছে তা সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।

আজ সোমবার সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, আমি জোর গলায় বলতে পারি, বিগত সাড়ে ৮ বছরে কোন অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন স্বয়ং উপাচার্য। তার পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রশাসনে নিয়োগ বা শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেন উপাচার্য।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পূর্ববর্তী ভিসি ছিলেন যারা, তাদের অধিকাংশদের অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগের ইতিহাস রয়েছে। কাগজ বা চিঠি দিয়ে নিয়োগের পাশাপাশি নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে শুধু একটা চিরকুটের মাধ্যমে! আমি ভিসি থাকা অবস্থায় এমন কোন নিয়োগ হয়নি। প্রতিটি নিয়োগ হয়েছে নির্বাচক প্যানেল ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। ভিসি হিসেবে তাদের পাঠানো সুপারিশ অনুসারে এবং সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ হয়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগ ফলাফল কখনো কখনো রিভিউয়ের জন্য প্রেরণ করা হয়। কিন্তু রিভিউয়ের পরও যদি একই ব্যক্তিকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বা উপাচার্যের করার কিছু থাকে না। এ কারণেই শিক্ষক বা প্রশাসনে নিয়োগের জন্য আমাকে সরাসরি দায়ী করা বিশ্ববিদ্যালয় আইন পরিপন্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নির্বাচক প্যানেলে সভাপতি হিসেবে থাকেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা)। সদস্য হিসেবে থাকেন সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারপার্সন এবং সিন্ডিকেটের সদস্য। অন্যদিকে প্রশাসনে কোনো নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যানেলের সভাপতি হন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান ও সিন্ডিকেটের সদস্য। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গত সাড়ে আট বছরে প্রতিটি বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগ হয়েছে এই প্যানেলের মাধ্যমে। ব্যক্তিগতভাবে আমি কাউকে নিয়োগ দেইনি। কিন্তু তারপরও আমাদের শিক্ষকদের মধ্যেই একটি অংশ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বর্তমানে এই অভিযোগ তুলছে।

ভিসি নির্বাচন প্যানেল ও সিনেট নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এখানে কোন আইন পরিপন্থী কাজ করা হয়নি। তারপরও যেহেতু বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার ভুক্ত। সুতরাং রায় সেখান থেকেই প্রদান করা হবে। আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই, এই সিনেটই মাস খানেক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট পাশ করেছে। তখন সিনেট নিয়ে সমালোচনা হল না, আর এখন ভিসি নির্বাচনের সময় সিনেট কিভাবে অবৈধ হয়ে গেলো? ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এটা বিশ্ববিদ্যালয়কে এক অস্থিরতার মধ্যে ঠেলে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি আরো বলেন, প্রশ্ন তোলা হচ্ছে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের জিপিএ বা সিজিপিএ নিয়ে। কিন্তু যেই শিক্ষকরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের অনার্স এবং মাস্টার্সের ফলাফল খুবই ভালো। পূর্বে এসএসসি ও এইচএসসির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ব্যাচের ফলাফল খারাপ ছিল। শিক্ষা-মন্ত্রণালয় থেকেও এই ক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনায় রাখার কথা বলা হয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে সিলেকশন কমিটি বিষয়টি দেখে। সাক্ষাৎকার ভিত্তিক এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পর্যালোচনা করা হয়, তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগ্য কিনা। সাক্ষাৎকারে তার পারফরমেন্স কেমন ছিল, একজন শিক্ষক হিসেবে তার নৈতিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনা করে একজন শিক্ষক নিয়োগ হয়।

সর্বোপরি সমালোচনা প্রসঙ্গে আরেফিন সিদ্দিক বলেন,  আমি ব্যক্তিগতভাবে সমালোচনা শুনতে ভালোবাসি। কিন্তু সমালোচনার একটা সংজ্ঞা রয়েছে। সমালোচনা হল যৌক্তিক উপায়ে ও তথ্য নির্ভর উপস্থাপনের মাধ্যমে কোনো বিষয় বা কাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা। কিন্তু যেখানে কোনো যুক্তি নেই। যেখানে তথ্য নির্ভর কোনো আলোচনা নেই, শুধু প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর লক্ষ্যে মিথ্যা কথা বলে বেড়ানো। এটা সমালোচনা নয়। এটা প্রতারণা। মানুষকে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে এমন মিথ্যাচার নিয়ে কিছু বলা আমার রুচিতে বাধে।

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033700466156006