কোন ভূমিকা ছাড়াই আমার এ লেখাটি। বিষয় সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ। তবে কিছু কথা না বললেই নয়। দেশের ৯৫-৯৭ ভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাতে। অথচ মাত্র ৩-৫ ভাগ শিক্ষার্থী এবং এদের শিক্ষক-কর্মচারিগণ সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা পায়। যা একই দেশে একই সিলেবাসে মোটেই কাম্য নয়।
যাক সে কথা। এখন দেখা যাক কী ভাবে সহজে সকল প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব। তার আগে দুটি সংখ্যা বলি। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ১০টি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৮ লাখ এবং ১২ লাখ প্লাস। দুই পরীক্ষার গড় পরীক্ষার্থী ১৫ লাখ। এখন ধরি, ৬ষ্ঠ-দ্বাদশ পর্যন্ত সাতটি ক্লাস। তাহলে ১৫ লাখ গুণ ৭ = ১০৫ কোটি।
যেহেতু ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বেশি হবে এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে ক,খ,গ শাখা আছে তাই মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩০ কোটি ধরলেও কম ধরা হবে। তবুও ১৩০কোটি ধরে যদি বাৎসরিক সেশন চার্জ পাঁচশ টাকা করে নেয়া হয় তাহলে এ খাতে আদায় হবে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। মাসিক ১৫ টাকা বেতন নিলে এ খাতে আদায় হবে ২৩ হাজার চারশ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট বাৎসরিক আয়= ৬৫০০০+২৩৪০০=৮৮৪০০ কোটি টাকা।
সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বিদায়ী সাক্ষাতে (নভেম্বর, ২০১৫) মাননীয় প্র্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন সমগ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে এক হাজার দুইশ পঞ্চাশ কোটি টাকা। অর্থাৎ সমগ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হলে সরকারের লাভ হবে কমপক্ষে ৮৮৪০০–১২৫০ = ৮৭১৫০ কোটি টাকা বাৎসরিক।
মোঃ শরিফুল ইসলাম: সহকারি শিক্ষক, বাজার গোপালপুর স্কুল এণ্ড কলেজ, ঝিনাইদহ।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]