শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে অকৃতকার্য হলেই তাকে খারাপ শিক্ষার্থী মনে করা হয়। কিংবা ক্লাসে কোনো বিষয়ে পড়া না পারলে সে শিক্ষার্থী মেধাহীন-একে দিয়ে কিছুই হবে না—এরূপ ধারণা পোষণ করা হয়। স্যারের শাসন, অভিভাবকের বকুনি ইত্যাদি নিত্যসঙ্গী হয় এসব শিক্ষার্থীর। শুরু হয় স্কুল পলায়ন তথা স্কুল থেকে ঝরে পড়া। যেখানে শিক্ষক-অভিভাবক প্রত্যেকেরই উচিত ছিল ঐ শিক্ষার্থীকে উত্সাহিত করা যে, তুমি পারবে; কারণ সাফল্য-ব্যর্থতার সিঁড়ি বেয়েই আসে কিংবা বারবার চেষ্টার ফলে কঠিন বিষয় অতি সহজ হয় তথা হূদয়ঙ্গম হয়।
তুমি পরিশ্রম করো—তুমি সফল হবেই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, স্কুল-শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবক, প্রতিবেশী এমনকি বন্ধুবান্ধব সবাই উত্সাহিত তো করেই না বরং শিক্ষার্থীকে তিরস্কার ও নিরুত্সাহিত করে। ফলে ঐ শিক্ষার্থী হতাশায় হাল ছেড়ে দেয় জীবন সংগ্রামের। অসত্ সঙ্গে মিশতে মিশতে জড়িয়ে পড়ে নানাবিধ কুকর্মে। মাদক পাচার চক্র, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, ডাকাত দল, ছিনতাইকারী কিংবা বাল্যবিবাহ, নারীনির্যাতন, শিশু নির্যাতন, ইভটিজিং, যৌতুকের ঘটনাসহ ইত্যাদি নানাবিধ অসামাজিক কর্মকা্ল ঐসব শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার করণেই অহির্নিশি ঘটে চলেছে সমাজে। আর তাই এ ভয়ানক পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ তথা সুস্থ সমাজ ও জীবনের প্রত্যাশায় শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবার মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া উচিত। সেইসঙ্গে সামগ্রিক শিক্ষণ ও শিখন পদ্ধতির পরিবর্তন এবং সহজীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ সময়ের দাবি।