বরগুনা সদর উপজেলার বাওয়ালকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তারেক (১১) কে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফজিলাতুন নেছা চায়না। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফজিলাতুন নেছা চায়না শিক্ষার্থী তারেককে ক্লাস রুমে আটকে রেখে শারিরিকভাবে নির্যাতন চালায়। এতে শিশুটির বাম হাতের একটি আঙ্গুল ও বাম পায়ের উপর প্রচন্ড জখম হয়। আহত শিশুকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বাওয়ালকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী মিম দড়ির লাফ দিতে দিতে অসুস্থ হয়ে পরে। এসময় ৫ম শ্রেণীর ছাত্র তারেক সেই সংবাদ প্রধান শিক্ষককে না জানিয়ে মিমের বাবাকে দেওয়ার কারনে প্রধান শিক্ষিকা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধরে এনে ক্লাস রুমে আটকিয়ে রেখে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
শিশুটির পিতা বাওয়ালকর গ্রামের চুন্নু দফাদার বলেন, শিশুদের ক্লাশে বেত ব্যবহার করা নিষেধ থাকলেও প্রধান শিক্ষিকা আমার ছেলেকে বাশের লাঠি দিয়ে রুম আটকিয়ে নির্যাতন করেন। আমি খবর পেয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমার ছেলেকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছি তার হাতে এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বাওয়ালকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফজিলাতুন নেছা চায়নার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সামান্য আঘাত করেছি। তবে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটাইনি। আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে ছেলেটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলো আমি এসে খোঁজ নিয়েছি এবং তারেকর চিকিৎসার সকল খরচ আমি বহন করবো। এখন তারেক সুস্থ আছে আমি তাকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ বলেন, বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।