নড়াইলে এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকালে লোহাগড়া উপজেলা পাংখারচর কাজীপাড়ায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পাংখারচরের বাসিন্দা লিয়াকত আলী কাজীর সভাপতিত্বে স্বরসতী একাডেমীর প্রধান শিক্ষক একেএম আরিফ-উ-দৌলা, স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাসুদ রানা, ইতনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাদুজ্জামান, কাজী বুলবুল আহম্মেদ, ওবায়দুর কাজী, শিক্ষার্থী শারমিন খানম, রাশেদ কাজী, মাসুমা আক্তার, আশা খানম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তারা শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলার বিবরণে জানা যায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচরের কাজীপাড়ার রয়েল কাজী স্থানীয় স্বরসতী একাডেমির নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় রয়েল কাজীর নের্তৃত্বে কাজীপাড়ার বাবু শেখ, নয়ন সরদার, জুয়েল কাজী, ফয়েজ কাজী ও বাধন কাজী গতিরোধ করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ধাওয়া দিলে রয়েলসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে ৩ আগস্ট রাতে লোহাগড়া থানায় রয়েল কাজীসহ ছয়জনের নামে মামলা করেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে ভূক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বর্তমানে স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে। শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিভিন্নজনের বাজে মন্তব্যে সে ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
এ বিষয়ে স্বরসতী একাডেমীর প্রধান শিক্ষক একেএম আরিফ-উ-দৌলা বলেন, সে দিনের ওই ঘটনার পর থেকে মেয়েটি চুপচাপ হয়ে গেছে। লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছে।
এদিকে, মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষের লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলে জানান ওই শিক্ষার্থীর মা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই রানা প্রতাপ ঘোষ জানান, ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আর বাদিপক্ষকে হুমকির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।