পিরোজপুরের নাজিরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামীদের ভয়ে বাদীসহ স্বাক্ষীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলা তুলে না নিলে বাদীসহ স্বাক্ষীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে আসামীরা।
মামলার বাদী নিহতের পিতা উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বুইচাকাঠী গ্রামের মো. বেল্লাল মোল্লা জানান, তার একমাত্র পুত্র চট্রগ্রামের হাটহাজারি মাদরাসার ছাত্র মো. সোহেল মোল্লা ( ১৯) হত্যা মামলার আসামীরা মামলা তুলে নিতে বলছে, নতুবা বাদীসহ স্বাক্ষীদের হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন।
খুনিরা থানা সদরসহ পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করছে না। কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ৪নং আসামি মো. আলী শেখের কাছে জানতে চাইলে হুমকি-ধামকির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, ‘এমন কোন ঘটনার সাথে জড়িত নই।’
মামলার স্বাক্ষী উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের কাক্কা মোল্লা জানান, রোববার ওই মামলার সাক্ষ্য দিতে পিরোজপুর আদালতে গেলে আসামী নাজেম শেখ, শুকুর শেখসহ ৬ জনে তার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী নাজমিনকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।’
এ সময় সেখানে মামলার বাদীর জমিতে থাকা নারিকেল গাছের নারিকেল পেড়ে নেয় । পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের রক্ষা করেন।’’
মামলার বাদী জানান, ওই হত্যার ঘটনার পরই ২নং আসামি নাজেম ও হত্যার সাথে জড়িত নিহতের খালা ফরিদা বেগম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও তারা সম্প্রতি জামিন নিয়ে বাদী ও স্বাক্ষীদের হত্যার হুমকী দিচ্ছে ও বিভিন্নভাবে অত্যাচার করছে।
এ ঘটনায় মামলার বাদী গত ৯ আগস্ট থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করলে আসামীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়।
নিহত সোহেল মোল্লা গত ৭ ডিসেম্বর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের মামা বাড়িতে বেড়াতে গেলে খালা-খালু তকে বেদম মারপিট করেন।
এতে গুরুতর আহত সোহেল মোল্লা ১৪ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ডিসেম্বর মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে খালা ফরিদা বেগম ও খালু হাবিবুর রহমান শেখসহ ৮ জনকে আসামী করে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন মল্লিক জানান, মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। তবে স্বাক্ষীদের হুমকির ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি।