শিক্ষার আলো বঞ্চিত চরের কিশোরীরা বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষার আলো বঞ্চিত চরের কিশোরীরা বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নটি ৪৭টি মৌজার ছিলো দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা নদীর ভাঙনের কারণে ৪৩টি মৌজা নদী ভাঙনের বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া ইউনিয়নে ৪টি মৌজা রয়েছে আর ৪৩টি মৌজায় থাকা প্রায় ৪০সহস্রাধিকের অধিক পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। ওই নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর মধ্যে ১৩০টি পরিবার তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে পদ্মার বুকে জেগে উঠা কুশাহাট চরে দুই বছর যাবৎ বসবাস করে আসছে। ওই চরে পরিবারগুলো সঙ্গে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিকের বেশি শিশু, কিশোর, কিশোরী। চরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকার কারণে শিশু, কিশোরের, পাশাপাশি প্রায় ৬০ জন বেশি কিশোরীর লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত এবং লেখাপাড়া বন্ধ হয়ে গেছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ট্রলারে নদী পথ ও পাঁচ কিলোমিটার ঘন বনবাতা বালু ও কাঁদা পথ সব মিলে প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সরজমিন কুশাহাট চরে গিয়ে দেখা যায়, তিন দিকে নদীর তার মাঝ একটি চরে মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। আর সেই চরে দুই বছর ধরে বসবাস করে আসছে নদী ভাঙনের শিকার ১৩০টি পরিবার। সেখানে নারী, পুরুষ, বয়স্ক, শিশু, কিশোর, কিশোরীসহ ৫ শতাধিকের অধিক মানুষ বসবাস করছে। ওই পরিবারগুলোর সঙ্গে রয়েছে প্রায় ২ শতাধিকের অধিক শিশু, কিশোর- কিশোরী রয়েছে। আরও দেখা গেছে ওই সব শিশু, কিশোর, কিশোরীরা সব অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে এবং অবহেলা আর অযন্তে বড় হচ্ছে। সরজমিন কুশাহাট চরের মো. মাইনদ্দীন (২৭) মো. ইসলাম বেপারী (৫০) মো. আকবর মন্ডল (৭০) মো. তালেব খান (৭৫), আজিবর মোল্যা (৪৫) আমজাদ মৃধা (৫৫) জড়িনা (৩০) খোদেজা (৪৫)সহ চর বাসিরা সংবাদকে বলেন যে, আমরা দুই বছর ধরে এই চরে বসবাস করে আসছি। আমাদের বাড়ি আগে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কুশাহাট ছিলো। নদীভাঙনের কারণে আমাদের এলাকার অনেকেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সরকারি রাস্তা বা অন্যের জমিতে বাড়ি ঘর করেছে বসবাস করছে। আর আমরা ১৩০টি পরিবার প্রথমে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার কানাইদা চরে বসবাস শুরু করি।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060229301452637