শিক্ষায় কেন বৈষম্য? - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষায় কেন বৈষম্য?

শাহাব উদ্দিন মাহমুদ |

একটি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত সে দেশের শিক্ষা। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই। একটা সময় মনে করা হতো, যে দেশে যত বেশি প্রাকৃতিক সম্পদ, সে দেশ তত বেশি উন্নত। কিন্তু এখন ধারণা পাল্টেছে। এখন মনে করা হয়, যে দেশে যত বেশি শিক্ষিত, সে দেশ তত বেশি উন্নত। মানব উন্নয়নের প্রায় সব সূচকেই বাংলাদেশের উন্নয়ন বৈশ্বিক পর্যায়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী অর্থনীতি, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রসহ প্রধান ১২টি উন্নয়ন সূচকের মধ্যে ১০টিতেই বাংলাদেশ আজ তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব রাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য বাংলাদেশকে আজ দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে অন্য দেশগুলোর সামনে। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশকে যেতে হবে বহুদূর এ প্রত্যয় নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মহান জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। শুরুতেই ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ’ অভিহিত করে বলেছিলেন, সময় এখন বাংলাদেশের। বক্তৃতায় রূপকল্প-২০৪১-এর আওতায় সরকার দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনার স্বপ্নমূলে থাকবে একটি শান্তিপ্রিয়, উন্নত এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুস্থ-সবল আলোকময় বাংলাদেশ। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, মতান্তরে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। পঁচাত্তরের কালরাতে ইতিহাসের জঘন্য ও নির্মম হত্যাকা-ের শিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে প্রবৃদ্ধির এ ধারা যদি অব্যাহত থাকত, তাহলে বাংলাদেশ নব্বই এর দশকেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতো। আর বর্তমানে আমরা বসবাস করতাম উন্নত বাংলাদেশে।

জাতীয় উন্নয়নে সরকারের অর্জন

দেশের ক্রান্তিলগ্নে এবং অর্থনীতির ঘোর অন্ধকার সময়ে বঙ্গবন্ধুর অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র-দর্শন, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের সামনে তুলে ধরেছিল ‘দিনবদলের সনদ’, যাতে তিনি ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প উপস্থাপন করেছিলেন। ব্যাপক সাফল্যের মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ শেখ হাসিনার সরকার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সমর্থ হয়েছিলেন। এরপর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের দিকে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে সরকার। সরকারের আট বছর মেয়াদকালে অর্থনীতির অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্ব অর্থনীতিতে অধিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। বিশ্বের খুব কম দেশই একটানা এত দীর্ঘ সময় ধরে ৬.৫ শতাংশের উপর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে। অচিরেই প্রবৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, কর্মসৃজন, খাদ্য উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আমদানি ও রফতানি, দারিদ্র্য ও অসমতা হ্রাসসহ আর্থ-সামাজিক খাতের প্রায় প্রতিটি সূচকেই বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। অগ্রগতি হয়েছে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন খাতে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণ, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, সারা বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন গঠনÑসত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।

শিক্ষা খাতে সরকারের অর্জন

শিক্ষা খাতে বিরাজমান সরকারী-বেসরকারী বৈষম্য সত্ত্বেও শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হলো, ১ জানুয়ারি শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তির ব্যবস্থা। সারাদেশের ত্রিশ হাজার বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১ শতাংশে, বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে শতকরা ৯৭ ভাগে। শিক্ষার সুবিধাবঞ্চিত গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে, গঠন করা হয়েছে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।

সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা আর শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে রীতিমতো ঘটে গেছে বিপ্লব, যা বিশ্বের বহু দেশের কাছে অনুকরণীয়। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যালয়ে ভর্তির হার শতভাগ, ছাত্রছাত্রীর সমতা, নারী শিক্ষায় অগ্রগতি, ঝরে পড়ার হার দ্রুত কমে যাওয়াসহ শিক্ষার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোল মডেল এখন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গেলেও শিক্ষার অগ্রগতিতে গত এক দশকই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিশ্বব্যাংক, ইউনেস্কো, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামসহ আন্তর্জাতিক দাতা ও গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রগতিকে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, শিক্ষায় প্রতিটি পর্যায়ে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে বাংলাদেশ ছুঁয়েছে নতুন মাইলফলক।

শিক্ষা খাতে বিরাজমান বৈষম্য

শিক্ষায় এতসব অর্জন সত্ত্বেও শিক্ষা খাতে রয়ে গেছে পাহাড়সম বৈষম্য। শিক্ষা খাতের পাহাড়সম বৈষম্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও সরকারী-বেসরকারি, মাদ্রাসা-কারিগরিসহ বহুধা বিভক্ত। সারা দেশের এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২% সরকারী, বাকি ৯৮% বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী। শিক্ষাব্যবস্থার দুই ধারা সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে বেতন-ভাতায় ব্যাপক বৈষম্য বিরাজমান। দিন দিন এ বৈষম্য বেড়ে চলেছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ মাধ্যমিক পর্যায়ে এই বৈষম্য খুবই তীব্র। বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকের এক তৃতীয়াংশ বেতন পান। দেশের ৯৬-৯৮ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করা যে সরকারের ঘোষিত লক্ষ্য, তাদের তো এ বৈষম্য দূর করতে হবে। জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অন্তর্ভুক্ত ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার ৪ নম্বর লক্ষ্যমাত্রাটি হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা। এ লক্ষ্যমাত্রার অধীনে ১০টি সুনির্দিষ্ট টার্গেট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অবৈতনিক, সমতাভিত্তিক এবং মানসম্মত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা, মানসম্মত প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, নারী-পুরুষ সবার জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ, মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে শোভন কাজের উপযোগী জনগোষ্ঠী তৈরি, শিক্ষায় লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা, প্রতিবন্ধী ও আদিবাসীসহ সব ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষের জন্য সব পর্যায়ে শিক্ষার সুযোগ এবং মানসম্পন্ন শিক্ষক নিশ্চিত করা। সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে নতুন প্রজন্মকে যুগের চাহিদা অনুযায়ী যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষা খাতে সরকারী বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বেসরকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতায় সমতা আনতে হবে। শিক্ষায় সরকারী বরাদ্দ বৃদ্ধি করলে শিক্ষকদের আরও বেশি বেতন-ভাতা প্রদান সম্ভব হবে। সরকার তখন ‘যত বেশি যোগ্যতা তত বেশি হারে বেতন’ নীতি অনুসরণ করতে পারবে।

শিক্ষকরা পাঠদানে আরও বেশি করে মনোযোগী তখনই হবেন, যখন তাদের আর্থিক দুর্দশা ও বেতন-ভাতায় বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থায় জাতির জন্য কখনই ভাল কিছু আশা করা যায় না। বেসরকারী শিক্ষকরা এসব সমস্যার সমাধান দেখেন শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র বেতন, পরীক্ষা ফি ও অন্যান্য সূত্র থেকে যাবতীয় আয় জমা পড়বে সরকারী কোষাগারে। সরকারী কোষাগার থেকে মেটানো হবে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য ব্যয়। বেসরকারী শিক্ষকদের ধারণা, এ পথ ধরে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে সরকারের মোট ব্যয় তেমন বাড়বে না। এতে শহর গ্রামের মধ্যে ব্যবধানও ঘুচবে।

শিক্ষায় সরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বৈষম্য দূর করা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ফিলিপিন্সের দিকে দৃষ্টিপাত করলে আমরা বুঝতে পারব। ফিলিপিন্সের ১৫ লাখ মানুষ প্রবাসী। তারা সবাই শিক্ষিত বিধায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠায়। আর বাংলাদেশের দেড় কোটি মানুষ প্রবাসী, কিন্তু অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বলে রেমিটেন্স পাঠায় মাত্র ১৫ বিলিয়ন। কারণ, শিক্ষিতরা সব সময়ই এগিয়ে থাকে। শিক্ষা খাতের বরাদ্দ কোন খরচ নয়, বরং টেকসই বিনিয়োগ। ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের মতে, শিক্ষাই একমাত্র বিনিয়োগ, যেখানে ২৯ শতাংশ রিটার্ন অর্জন করা যায়। একটি দেশকে ধ্বংস করার জন্য যুদ্ধ করার দরকার নেই, পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিলেই জনগণ নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ধ্বংস হয়ে যায়। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সমসাময়িক সময়ে স্বাধীন হলেও শুধু শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে অনেক উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। সুতরাং দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষায় সরকারী-বেসরকারী, শহর-গ্রামের বৈষম্য দূর করে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর আলোকে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করার জন্য দরকার সরকারের আন্তরিকতা ও সচেতনতা। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করতে হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্য নিরসন করে জাতীয়করণই একমাত্র সমাধান। বাংলাদেশের মতো একটি দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে এ মুহূর্তে শিক্ষা খাতে যথাযথ বিনিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের গতিশীল পদচারণা স্তিমিত হয়ে আসবে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমাদের সাফল্যের সক্ষমতা সঙ্কুচিত হয়ে পড়বে। শিক্ষাকে প্রতিটি মানুষের অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল একটি আধুনিক ও গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের বিকাশ ত্বরান্বিত হবে।

লেখক : শিক্ষক প্রতিনিধি

সূত্র: জনকন্ঠ

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0066039562225342