শিক্ষা ক্যাডারের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা - Dainikshiksha

শিক্ষা ক্যাডারের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রী হল থেকে এইচএসসির অমূল্যায়িত খাতা উদ্ধারের ঘটনায় বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের দুইজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার বাদী হয়ে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। রাতে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি শাহাদাত হোসেন খান জানান, রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. আবুল কালাম আজাদ এবং শাহ মখদুম কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মাসুদুল হাসানকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত ওই দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলেও জানান ওসি।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। তবে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে কী না এখনও থানা থেকে তাকে জানানো হয়নি।

এর আগে সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় রাবি মুন্নুজান হলের দ্বিতীয় তলার ১ নম্বর ডরমেটরির বারান্দায় পড়ে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ১০০ উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়।

পরে খাতাগুলো শিক্ষা বোর্ডে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। এই খাতার কোর্ড নং- ২৬৮। ইসলামের ইতিহাসের খাতাগুলো মূল্যায়নের জন্য রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালামের কাছে বোর্ড থেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি ওই উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়নের জন্য তিনি শাহ মখদুম কলেজের প্রভাষক ও এমপিথ্রি কোচিং-এর রাবি শাখার পরিচালক মাসুদুল হাসানকে দেন। তার মাধ্যমে খাতাগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যায়।

মাসুদুল হাসান উত্তরপত্রগুলো তার কোচিংয়ে কর্মরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে দেন। ওই শিক্ষার্থী মূল্যায়নের জন্য কিছু খাতা নিজের কাছে রাখেন আর কিছু খাতা মূল্যায়ন করে দেয়ার জন্য তার এক বান্ধবীকে দেন। খাতা উদ্ধারের পর সোমবার রাতেই দুই শিক্ষককে শিক্ষা বোর্ডে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে বোর্ড থেকে তাদের ছেড়ে দেয়।

 

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060880184173584