শিক্ষা ক্যাডারের ২২ কর্মকর্তার বিদায় চায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষা ক্যাডারের ২২ কর্মকর্তার বিদায় চায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রাথমিকের পাঠ্যবই কেলেঙ্কারির ঘটনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ২২ কর্মকর্তার বিদায় চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরা সবাই শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এদেরকে এনসিটিবিতে নিয়োগ দেয়া হয়। এই ২২ কর্মকর্তার জায়গায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের লোক বসাতে চায়। এনসিটিবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রাণাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, এনসিটিবিতে নিজেদের লোক না থাকায় পাঠ্যবইয়ে ভুল হয়েছে। নিজেদের লোক বসালে ভুল-ভ্রান্তি থাকবে না। মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার দাবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এনসিটিবির প্রাথমিক উইংয়ের ২৪টি পদের ২২টিতেই ‘অযোগ্য’দের বসানোয় ভুলভ্রান্তি থেকে গেছে। প্রাথমিকের কারিকুলাম নিয়ে গোড়ায়ই গলদ রয়ে গেছে। এটা থেকে বের হতে না পারলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫ জন কর্মকর্তা সেখানে কর্মরত আছেন। এর বিপরীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫ জন কর্মকর্তা এনসিটিবিতে সংযুক্ত থাকলেও তারা সেখানে কোনো কাজ করতে পারছেন না।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এসসিটিবির এই ৫ কর্মকর্তাকে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বৈঠকের আয়োজন

করেছে। আর আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে জোরালো আলোচনা হবে বলেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে, পাঠ্যবইয়ের ভুল-ক্রটি পর্যালোচনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) একটি কমিটি এনসিটিবির ৫ কর্মকর্তার ওপর দায় চাপিয়েছে। এরমধ্যে প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার, ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খান ওএসডি হয়েছেন। বরখাস্ত করা হয়েছে এনসিটিবির গ্রাফিক্স বিভাগের সুজাউল আবেদিনকে। দোষী হলেও গবেষণা কর্মকর্তা মো. আবু সালেক খান এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

তবে পাঠ্যবইয়ে ভুলের জন্য গঠন করা কমিটির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এনসিটিবি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। এ সংক্রান্ত নথি গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উত্থাপন করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার  বলেন, ‘এনসিটিবিতে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক উইং নামে দুটি সম্পাদনা পরিষদ আছে। প্রাথমিক উইংয়ের ২৪টি পদের ২২টিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘অযোগ্য’ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদায়ন করা এই কর্মকর্তাদের সরিয়ে আমাদের লোক বসানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হবে’।

তিনি বলেন, ‘এনসিটিবিতে প্রাথমিকের মাত্র ৫ কর্মকর্তাকে ‘বিষয়-বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে সংযুক্তি দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ২৪টি পোস্ট আমাদের উছিলায় সৃষ্টি হলো, কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের মতো করে অযোগ্য লোকদের এখানে বসিয়েছে শুধু তাদের (কর্মকর্তাদের) ঢাকায় থাকার জন্য। এনসিটিবিতে আমরা নিধিরাম সর্দার।

তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এরকম কোনো চিঠি গতকাল পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেনি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি এনসিটিবিতে এই মন্ত্রণালয়ের লোক পদায়ন না করে তাহলে এনসিটিবি দুই ভাগ হয়ে যেতে পারে। যার একভাগ থাকবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরেকভাগ থাকবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ওই কর্মকর্তার মতে, মূলত এসব বিষয়ই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে।

যাদের বিদায় চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় :  যে ২২ জন কর্মকর্তার (বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার) বিদায় চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তারা হচ্ছেন- প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইংয়ে কর্মরত এনসিটিবির (সদস্য) ড. সরকার আবদুল মান্নান, ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ চৌধুরী মুসারত হোসেন জুবেরী, লানা হুময়ারা খান, মুনাব্বির হোসেন। বিশেষজ্ঞ হাসমত মনোয়ার, মো. মোসলেম উদ্দিন সরকার, খন্দকার মঞ্জুরুল আলম, মো. মোস্তফা সাইফুল আলম, সাইদুজ্জামান। উপ-সচিব (কমন) সৈয়দ মইনুল হাসান, সম্পাদক দিলরুবা আহমদ ও গৌরাঙ্গ লাল সরকার। গবেষণা কর্মকর্তা মো. আবু সালেক খান, শাহ তাসনিমা সুলতানা, আবু হেনা মাশুকুর রহমান, মো. তৈয়বুর রহমান, মো. জিল্লুর রহমান, মোহাম্মদ মুমিনুল হক। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আবদুল হামিদ, কম্পিউটার অপারেটর মো. আ. হান্নান বিশ্বাস, স্টোর গার্ড শারমিন আক্তার ও এমএলএসএস মো. মামুন, আমির হোসেন ও লতিফা খানমকে সরানোর কথা বলেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ক্ষমা চাওয়ায়ও সন্তুষ্ট নয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদনের পরে প্রাথমিকের একটি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে বাংলা নীতিবাক্য পাল্টে সেখানে অপ্রাসঙ্গিক শব্দে ভুল ইংরেজি বাক্য জুড়ে দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তৃতীয় শ্রেণির হিন্দু ধর্ম শিক্ষা বইয়ে ‘পরনিন্দা ভালো না’ বাক্যটি বাদ দিয়ে এনসিটিবির কর্মকর্তারা সেখানে উঙ ঘঙঞ ঐঊঅজঞ অঘণইঙউণ বাক্য জুড়ে দিয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে এনসিটিবির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নেছার আহমেদ বলেন, আমরা টাকা দিয়ে প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপাই। এখানে ভুল হবে কেন? আর ভুল হলে ক্ষমা চাইলেই কি ক্ষমা করতে হবে? এই ভুল বই কে পড়বে এবং পড়াবে- এমন প্রশ্নের উত্তর কি এনসিটিবি দিতে পারবে।

এবারের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাপানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি ছবি ও তার সঙ্গে ছাপানোর জন্য কিছু নীতিবাক্য বাছাই করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তৃতীয় শ্রেণির হিন্দু ধর্ম শিক্ষা বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ছাপানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘পরনিন্দা ভালো না’ বাক্যটি ঠিক করে দেয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদিত ওই বাক্যটি তৃতীয় শ্রেণির হিন্দু ধর্ম বইয়ে ছাপানোর জন্য এনসিটিবিতে পাঠানো হয়েছিল বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলা বাক্যটি বাদ দিয়ে সেখানে উঙ ঘঙঞ ঐঊঅজঞ অঘণইঙউণ বাক্য ছাপায় এনসিটিবি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন হওয়া কোনো ইংরেজি বাক্যই ছিল না, এটা তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, এনসিটিবির তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। এখন এ বিষয়ে কি করা হবে তার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে নথিতে।

বছরের প্রথম দিন ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থীর হাতে এবার ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার বই ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে সরকার। যার মধ্যে প্রায় ১১ কোটি বই রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য। গত ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ভুল-ক্রটি ধরে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনা চলছে। বানান ভুলের খতিয়ান তুলে ধরে অনেকে প্রশ্ন রেখেছেন- শিশুদের পাঠ্যবইয়ে এসব কী শেখানো হচ্ছে।

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে কুসুমকুমারী দাশের ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় বেশ কয়েকটি লাইন বিকৃতির বিষয়টি তুলে ধরে ফেসবুকে তার সমালোচনা করেছেন অনেকে। এ বিষয়ে এনসিটিবির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমির মতামত নিয়ে কবিতাটির কিছু শব্দ পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু বাংলা একাডেমি বিষয়টি অস্বীকার করছে।

প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে বর্ণ পরিচয়ে লেখা হয়েছে, ‘ও’-তে ওড়না চাই, যা নিয়ে ফেসবুকে চলছে তুমুল সমালোচনা। ২০১২ সালে নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী ২০১৩ সালে বিতরণ করা বইয়েও ‘ও’-তে ওড়না চাই বাক্যটি লেখা ছিল। এ বিষয়ে এনসিটিবির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘ওড়না শব্দ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’ এবার প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে শুনি ও বলি পাঠে একটি ছাগলের ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, অজ (ছাগল) আসে। আম খাই। এক সময় অ-তে অজগর শেখানো হলেও তার বদলে শিশুদের বইয়ে প্রায় অপ্রচলিত ‘অজ’ শব্দের ব্যবহার সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আবার আম খাওয়া বোঝাতে একটি আম গাছের নিচের অংশে দুই পা তুলে একটি ছাগলের দাঁড়িয়ে থাকায় ছবি দেয়া হয়েছে সেখানে। এই ছবি নিয়ে কেউ কেউ ফেসবুকে লিখেছেন, ছাগল নাকি গাছে উঠে আম খায়। এ বিষয়ে এনসিটিবির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অজ’ অপ্রচলিত হলেও এটি ছাগলের সমার্থক শব্দ এবং পাঠ্যবইয়ে এর ব্যবহার ঠিক আছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পাঠ্যবইয়ে ভুলের বিষয়ে এনসিটিবি একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এতে ভুলের জন্য এনসিটিবি ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। এখন এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য নথি উত্থাপন করা হয়েছে। নথিটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর কাছে নিষ্পত্তি হবে। এ ছাড়া পাঠ্যবই ভুলের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা সেই প্রতিবেদনেরও অপেক্ষা করছি। প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036458969116211