শিক্ষা ক্যাডারের ৩০ ‘দুর্নীতিবাজ’ কর্মকর্তার বদলির আদেশ অনুমোদন - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষা ক্যাডারের ৩০ ‘দুর্নীতিবাজ’ কর্মকর্তার বদলির আদেশ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বছরের পর বছর আকঁড়ে থাকা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৩০ কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ অনুমোদন লাভ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ ফাইলে অনুমোদন দিয়েছে। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে এসব কর্মকর্তাদের ‘দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি, সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড, অবৈধভাবে একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান,  জাতীয়করণ বিরোধী প্রচারণা ও চাকরিবিধি লঙ্ঘনসহ একই প্রতিষ্ঠানে বহু বছর ধরে কর্মরত থাকার অভিযোগের উল্লেখ রয়েছে। তবে, ফাইলে অনুমোদন পেলেও রাত দশটায়  এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বদলির আদেশ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিকশিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ঘুষ, দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মঙ্গলবার তালিকাভুক্ত কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশনা অনুমোদন পেয়েছে। বদলির প্রক্রিয়ায় আরও প্রায় ২০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তাদেরও বদলির নির্দেশনা জারি করা হতে পারে।

অপর এক সূত্র জানায়, পছন্দমতো বদলি না হওয়ায় নতুন করে তদবির করছেন অনেকেই। এদেরকে সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার জন্য নিয়োগ দেয়া হলেও শুধু অফিসে চাকরি করতেই বেশি পছন্দ করেন। যেকোনো মূল্যে  শুধু অফিসে অথবা ঢাকায় পদায়ন পেতে চান তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার উপ-পরিচালক মোস্তফা কামাল, বেসরকারি কলেজ শাখার উপ-পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, এস এম কামাল হায়দারসহ ১২ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুজন কর্মকর্তা, এনসিটিবির চারজনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ১২জন কর্মকর্তা রয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, এসব কর্মকর্তার মূল পদ সরকারি কলেজগুলোতে হলেও প্রভাব খাটিয়ে তারা বছরের পর বছর প্রশাসনিক পদ আঁকড়ে ছিলেন। অনেকেই গড়ে তুলেন বাণিজ্য সিন্ডিকেট।

তবে, ঢাকা বোর্ডের সচিব শাহেদুল খবির, উপ-কলেজ পরিদর্শক মন্মথ বাড়ৈ,  বিদ্যালয় পরিদর্শক এটিএম মইনুল হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এনসিটিবির উৎপাদন নিয়ন্ত্রক আবদুল মজিদ, মোখলেছুর রহমান, মনির হোসেনসহ অন্তত ১০ জনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ডিআইএর সালাম আজাদ, শ্যামা প্রসাদ সাহা, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। শিগগিরই এসব কর্মকর্তাদেরও বদলি করা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, এনসিটিবিতে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার বই ছাপার কাজে কমিশন হাতিয়ে রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন অনেক কর্মকর্তা।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে থেকে শাহেদুল খবির ও বাড়ৈ চক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের  অনুমতি,  ক্যামরিয়ানসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ইচ্ছেমতো  পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আসন বৃদ্ধি ও বোর্ডের কেনাকাটায় বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া মাসুদা নামের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।

মাউশি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বদলি, অবৈধ এমপিওভুক্তিসহ বিভিন্ন কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অনৈতিক সুবিধা নিতেই বছরের পর বছর সেখানে ‘খুঁটি’ গেড়েছেন অনেক কর্মকর্তা।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034530162811279