সহকারি ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির লক্ষ্যে আগামী সোমবারের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) অধিদপ্তরের সরকারি কলেজ শাখা ও এসিআর শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমন নির্দেশনা দেন তিনি। একাধিক কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, মূলত গত তিনদিন ধরেই আমরা রাত দশটা অব্দি অফিসে কাজ করছি। সোমবারের মধ্যে ফিটলিস্ট তৈরি করে মহাপরিচালকের হাতে দেয়ার নির্দেশনা পেয়েছি। সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। বিস্তর কাজ। এরই মধ্যে বেহুদা প্যাচাল পারতে আসেন সমিতির কতিপয় বিতর্কিত নেতা যারা আমাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে নিজেদের ফেসবুকে এই মর্মে জাহির করেন যে, তারা এই তথ্যগুলো মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী যুগ্ম-সচিব অথবা উপ-সচিবের কাছ থেকে পেয়েছেন! এতে সমিতির সাধারণ সদস্য যারা দূরের কলেজে চাকরি করেন তারা বিভ্রান্ত হন।সমিতির নেতারা আসলে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে গিয়ে কী করেন আর তাদের ক্ষমতা কতটুকু তা শিক্ষা অধিদপ্তরে পদায়ন না পেয়ে বুঝতে পারতাম না। তিনি সাধারণ সদস্যদের সমিতির কতিপয় নেতাদের কথায় ও প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অদ্যাবধি সহকারি অধ্যাপকের ২৬০ ও সহযোগী অধ্যাপকের ২০০টির মতো পদ শূন্য রয়েছে। তবে, অধ্যাপক পদে পদোন্নতির আদেশ জারি হলে প্রকৃত শূন্য পদের হিসেব পাওয়া যাবে। দুশো সত্তর জনের মতো অধ্যাপক হতে পারেন।
অপর এক সূত্র জানায়, অধ্যাপক পদের পদোন্নতি পদায়নসহ আদেশ জারি হলেও হতে পারে আগামী সপ্তাহে। বিভাগীয় পদোন্নতির সভা একদিন আড়াই ঘন্টা চলার পর মূলতুবি করা হয় ৮ আগস্ট। মূলতুবি নিয়ে সমিতির কতিপয় নেতা ভুল তথ্য দিচ্ছেন সদস্যদের। বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সভা শুরুর পর মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অতি দ্রুত পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন কতিপয় নেতা। আবার মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করে সব সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠােনোর ব্যবস্থা করেছেন সমিতির বিতর্কিত নেতৃবৃন্দ।