শিক্ষা খাতে উন্নতির জন্য চাই সমন্বিত উদ্যোগ - Dainikshiksha

শিক্ষা খাতে উন্নতির জন্য চাই সমন্বিত উদ্যোগ

ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী |

মানুষের মৌলিক চাহিদার গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে শিক্ষা। প্রকৃত অর্থে শিক্ষাকে একটি অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তবে এ শিক্ষার অধিকারের সঙ্গে মানুষের এটি গ্রহণ করার মানসিকতার বিষয়টিও চিন্তা করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা ও মানুষের মধ্যে যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে সেটি গবেষণার মাধ্যমে বের করে আনা দরকার। কেননা শিক্ষাকে যদি মানুষের মানসিকতার প্রকৃতি ও অন্তর্নিহিত শক্তি বিবেচনা না করে সম্প্রসারিত করা হয়, তবে সে শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের প্রকৃত বিকাশ সম্ভব নয়। আমাদের দেশে যে গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতি গড়ে উঠেছে, সেখানে প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের চেয়ে পুঁথিগত বিদ্যাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বিষয়টি উন্নত বিশ্বের চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের গবেষণার কার্যপদ্ধতির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা তাদের মৌলিক গবেষণা মানুষের ওপর প্রয়োগ না করে গিনিপিগের ওপর প্রয়োগ করে। এখান থেকে তারা একটি গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্তে উপনীত হন। তবে এ সিদ্ধান্ত ও গবেষণা মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সমীচীন হবে কিনা তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। ফলে এ গবেষণালব্ধ ফলাফল বাস্তব ক্ষেত্রে কার্যকর কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়। এ প্রয়োগের ফলাফল ইতিবাচকও হতে পারে, নেতিবাচকও হতে পারে। যদি কোনো কারণে নেতিবাচক হয়, তবে এটি উন্নত রাষ্ট্রের মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব না ফেললেও উন্নয়নশীল ও অনুন্নত রাষ্ট্রের মানুষকে ক্ষতিকরভাবে প্রভাবিত করে। অন্যভাবে বলা যায়, এখানে পরোক্ষভাবে উন্নত রাষ্ট্রগুলো চিকিৎসাসেবার কৌশল অবলম্বন করে মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করার প্রয়াস চালায়, যা কোনোভাবে নৈতিকতার পর্যায় পড়ে না। একই কৌশল অবলম্বন করে যখন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীভিত্তিক শিক্ষার ধারণাকে কোনো একটি জনগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় তখন এর নেতিবাচক ফলাফলের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।

কোনো শিক্ষা পদ্ধতি প্রচলনের আগে তা মানুষের মনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কী প্রভাব ফেলতে পারে, গবেষণার মাধ্যমে তার প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচন করা প্রয়োজন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে কিভাবে শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায় তা ভেবে দেখতে হবে। কেননা ভাষা যেমন পরিবর্তনশীল, শিক্ষাও তেমনি পরিবর্তনশীল ও গতিশীল একটি প্রক্রিয়া। আবার এক্ষেত্রে শিক্ষার গুণগতমানের বিষয়টি বিবেচনা করে শিক্ষাকে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রকৃত অর্থে আমরা এখনও পর্যন্ত জানি না কোন ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি আমাদের দেশের জন্য উপযোগী হবে। বাস্তবতা ও তাত্ত্বিক শিক্ষা যে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী হতে পারে সে ধরনের মনস্তাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা এখনও পর্যন্ত আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

সুইডেন, জাপান, সিঙ্গাপুর, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে শিক্ষা বোঝা না হয়ে আনন্দের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এক ধরনের সংকট কাজ করছে। এর কারণ হল শিক্ষাকে আমরা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এখনও পর্যন্ত বিবেচনা করি না। কিন্তু শিক্ষা ও সংস্কৃতি একে অন্যের পরিপূরক। কাজেই সংস্কৃতির মূলধারাকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সেক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তিতে শিক্ষাকে আনন্দ ও সৃজনশীলতার অনুসর্গ হিসেবে বিবেচনায় আনতে হবে। যে জ্ঞান মানুষের মনকে প্রভাবিত করে, মানুষের মধ্যে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল ধারণা তৈরি করে, মানুষকে প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে, মানুষকে বাস্তব ও জীবনমুখী করে মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে, সে ধরনের শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মানসিকতাকে প্রভাবিত করতে হবে। শিক্ষাকে সার্বজনীন ও উদারনৈতিক চিন্তাধারার ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা দরকার। তা না হলে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।

২.

শিক্ষার সঙ্গে যেমন শিক্ষার্থীর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি শিক্ষা ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ প্রয়োজন। এর ফলে শিক্ষা, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এ তিনটি সত্তার সমন্বয়ে স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্তা, মৌলিক জ্ঞান আহরণ ও শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তি বিকশিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গবেষণার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিককালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ইউজিসির অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়। এ এগ্রিমেন্টের ওপর ভিত্তি করে ইউজিসির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একই ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে কর্মক্ষম করে তোলা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা। এ চুক্তির মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আগামী এক বছরে কী কী কার্যক্রম গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করবে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। যেমন শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন বিভাগ ও ইন্সটিটিউট খোলার অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু এ বিভাগ ও ইন্সটিটিউটগুলো চালানোর জন্য যে দক্ষ জনশক্তি, অবকাঠামো ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন, তার পরিকল্পনা, সুষ্ঠু তদারকি ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এক ধরনের সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যায়। ইউজিসির চেয়ারম্যান এপিএর সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেন। তা হল প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কনফারেন্স আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিঃসন্দেহে বিষয়টি জ্ঞানের আদান-প্রদান ও শিক্ষার উৎকর্ষের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেট প্রদান করা হলেও কনফারেন্স আয়োজনের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হয় না। ফলে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর সফল বাস্তবায়নে জটিলতা সৃষ্টি হয়। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা থাকলেও তার বাস্তবায়নে কোনো রোডম্যাপ নেই। এতে কাগজে-কলমে বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও নতুন জ্ঞান ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রকৃত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ও গবেষণাকে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের প্রধান উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বিষয়টি শিক্ষা ও গবেষণার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে গুণগত শিক্ষা ও গবেষণার মান বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক বিভাগ যাত্রার প্রারম্ভ থেকেই শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন বিভাগ ও ইন্সটিটিউট খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অগ্রসরমান শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এগুলো ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কিন্তু এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলো আমরা বিবেচনায় আনছি না। সেটি হল পুরনো যে বিভাগগুলো রয়েছে তা আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন তা প্রকৃত পরিকল্পনা ও অর্থের অভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। যার প্রভাব প্রত্যক্ষভাবে পড়ছে শিক্ষার গুণগত মানের ওপর। এখানে যে বিষয়টি জটিলতা সৃষ্টি করছে তা হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের কোনো প্রজেক্ট চালু থাকলে অন্য কোনো প্রজেক্ট পাওয়া যায় না। আবার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রজেক্ট মিললেও সে ক্ষেত্রে পুরনো-নতুন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটগুলো তাদের ল্যাবরেটরি সমৃদ্ধ করার জন্য কোনো ধরনের প্রজেক্ট পেতে সফল হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, কোনো একটি প্রজেক্ট একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান থাকলে অন্য প্রজেক্টের জন্য আবেদন করা যায় না। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রজেক্টের মেয়াদ পাঁচ বছর নির্ধারণ করা হয়। তবে সেক্ষেত্রে এ পাঁচ বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যে অনেক দূর এগিয়ে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমৃদ্ধ হলেও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে রয়েছে। এ বিষয়গুলো কিভাবে পরিকল্পনার মাধ্যমে সমন্বয় করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ল্যাবরেটরিসমৃদ্ধ করার কাজকে একই সঙ্গে এগিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে।

অনেকেই এখানে বলতে পারেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ সংক্রান্ত প্রজেক্ট একইসঙ্গে বিবেচনা করে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে বিষয়টি সেভাবে সমন্বয় করা যায় না। এর কারণ হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রজেক্টের বিপুল অর্থ বরাদ্দ থাকলেও ল্যাবরেটরির জন্য যে অর্থ বরাদ্দ থাকে তা খুবই নগণ্য। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে সমালোচনা করলেও এর ইতিবাচক বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ, যে সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করার কথা, সে সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশে নেই। এ প্রেক্ষাপটে বিষয়টি প্রশংসনীয়। তবে এর বাস্তবায়নের পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে যেসব শিক্ষার্থী সনদ নিয়ে বের হয় তাদের দ্রুত কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টিও বিশেষভাবে বিবেচনায় নিতে হবে।

ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী : অধ্যাপক ও রেজিস্ট্রার, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।

সৌজন্যে: যুগান্তর

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0070390701293945