শিক্ষা - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষা

শাহ মো. জিয়াউদ্দিন |

শিক্ষার আভিধানিক অর্থ যাই হোক না কেন, বাস্তবার্থে মানুষের মানবিক উৎকর্ষতা সাধন ও দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির অন্যতম উপাদান হলো শিক্ষা। আধুনিক যুগে মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহের অন্যতম অধিকার হিসাবে শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত। প্রাগৈতিহাসিক কালে শিক্ষা, শিক্ষার বিষয়বস্তু এবং শিক্ষণ সম্পর্কে যা জানা যায় তা হলো, বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের জীবনভর ইতিবাচক অর্জনগুলো শিক্ষার বিষয়বস্তুতে বা উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে সমাজের যুবকদের মাঝে ছড়িয়ে দিত। ঐ সময় বয়স্ক ব্যক্তিরা সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা একটি শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে যুবকদের শিখাতো। প্রাক যুগের শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত মৌখিকভাবে এবং অনুকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার কোন আনুষ্ঠানিকতা বা নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতা ছিল না। মূলত প্রাচীনকাল থেকে মধ্য যুগ পর্যন্ত গল্প বলার মাধ্যমে জ্ঞান, মূল্যবোধ এবং দক্ষতা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের কাছে স্থান্তারিত হয়েছে। অনুরূপভাবে সংস্কৃতি চর্চা এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক দক্ষতাও এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মের কাছে প্রসারিত হয় অনুকরণের মাধ্যমে। বাস্তব প্রেক্ষাপটে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা ধরনের পদ্ধতিগত পরির্বতন সাধিত হলেও indigenous knowledge বর্তমান সময়েও অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়। মানুষ আবহাওয়া এবং তার শারীরিক কিছু বিষয়ের পূর্বাভাস সম্পর্কে জ্ঞানাহরণ করেছে indigenous knowledge এর মাধ্যমে। কৃষি শিক্ষা এবং মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থার বিষয়টি প্রাচীনকালে গড়ে উঠেছিল indigenous knowledge এর ওপর ভর করে । indigenous knowledge শিক্ষার শিক্ষণ পদ্ধতি মৌখিক আর বিস্তারটা ঘটেছে বংশানুক্রমিকভাবে। প্রাক শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়বস্তু ও তার শিক্ষণ পদ্ধতির আনুষ্ঠিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।

অনানুষ্ঠানিকভাবে মানুষ মৌখিক এবং অনুকরণের মাধ্যমে সেই সময় শিক্ষা গ্রহণ করত। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার শিক্ষণ পদ্ধতি কবে শুরু হয় এই বিষয়টি নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে। তবে বহু কাল আগে মানুষ নিজের প্রয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা গ্রহণের নানা পদ্ধতির আবিষ্কার করেন। খ্রিস্ট জন্মের ৩৩০ বছর পূর্বে মিডল কিং এর সময় মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি শিক্ষা কেন্দ্র। এই শিক্ষা কেন্দ্রকে ঘিরে একটি গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হয়। খ্রিস্ট জন্মের বহু আগে প্লেটো এথেন্সে একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা ছিল ইউরোপের একমাত্র উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। পূর্ব এশিয়ায় আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটে খ্রিস্ট জন্মের প্রায় ৭০০ বছর আগে। খ্রিস্টের জন্মের প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ বছর আগে চীনের লু এর রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক ছিলেন কনফুসিয়াস। সেই সময় কুনফুসিয়াসের শিক্ষার বিষয়বস্তু বা কারিকুলাম এবং শিক্ষণ পদ্ধতি ব্যাপক বিস্তার লাভ ঘটে পূর্ব এশিয়াজুড়ে। কনফুসিয়াসের শিক্ষাগত দৃষ্টিভঙ্গি চীনের সমাজ এবং কোরিয়া, জাপান ও ভিয়েতনামসহ বেশকিছু রাষ্ট্রের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। নৈতিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা এবং বাস্তব অবস্থাকে মূল উপাদানে পরিণত করেছিলেন কণফুসিয়াস তার শিক্ষার বিষবস্তুতে। কনফুসিয়াসের শিক্ষা সুশাসনের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কনফুসিয়াসের অহধষবপঃং অনুসরণকারীদের দ্বারা লিখিত হয়েছিল যা পূর্ব এশিয়ায় আধুনিক যুগের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে আছে। পৃথিবীজুড়ে কনফুসিয়াসের নৈতিক শিক্ষা এখনও সর্বাধিক জনপ্রিয়।

উপমহাদেশের প্রাচীন শিক্ষার অন্যতম কেন্দ্র ছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। ৫০০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়টি সারা বিশ্বে জ্ঞান আহরণের প্রসিদ্ধ কেন্দ্র হিসাবে খ্যাতি অর্জন করে। সেই সময়কার পৃথিবীর বিভিন্ন পরিব্রাজকদের ভ্রমণ গ্রন্থ থেকে জানা যায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুখ্যাতি সম্পর্কে। বখতিয়ার খিলজীর বঙ্গ বিজয়ের পর এই বিশ্ববিদ্যালয়টির বিলুপ্তি ঘটে বলে অনেকেরই ধারণা।

শিক্ষার সাথে রাজনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। প্রাক ঐতিহাসিক যুগ থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার মাধ্যম, কারিকুলামসহ সব কিছু শাসনযন্ত্রের কর্ণধারদের ইচ্ছায় তৈরি হয়েছে। সার্বজনীন করা হয়েছে এখন প্রাথমিক শিক্ষাকে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। বর্তমানে Universal education ev Ensure inclusive and equitable quality education and promote lifelong learning for all ev citizen participation Stand up for education; time to deliver এ কথাগুলো বেশ জোরেশোরে শোনা যায় পৃথিবীর বহু দেশে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেভাবে শিক্ষার ব্যবস্থা পরিচালনা করা হচ্ছে তাতে দেখা যায়, শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো মুনাফা লাভ অর্জন করা। একটি বিশেষ শ্রেণী যারা প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীদের কাতারে নাম না লিখিয়েও মূলধন বিনিয়োগ ছাড়াই মোটা অংকের অর্থ লাভ নিয়ে যাচ্ছে এই শিক্ষা বাণিজ্যের মাধ্যমে।

বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষা সম্পর্কে বলেছেন, ‘শিক্ষা হলো তাই যা আমাদের কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না বিশ্ব সত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলে’। তবে বর্তমানে বিশ্ব সত্তার শিক্ষা বিনিময়ের নামে যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তা শিক্ষাকে বাণ্যিজিক বস্তুতে পরিণত করেছে। বিশ্ব শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান রূপ কবি গুরুর কাম্য ছিল না। International Baccalaureate এর কার্যক্রম শিক্ষার আন্তর্জাতিক করণে অবদান রাখছে। আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত The global campus online প্রকৃত ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাস সামগ্রী এবং রেকর্ডকৃত বক্তৃতার ফাইলগুলো বিনামূল্যে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিনামূল্যের শিক্ষণ পদ্ধতিতে কতজন শিক্ষার্থী প্রবেশের সুযোগ পায় বা যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। বিনামূল্যে শিক্ষণ প্রক্রিয়ার প্রবেশের জন্য যে জ্ঞান অর্জন করতে হয় তা করতে অর্থ ব্যয় হয়, তাছাড়া এই প্রক্রিয়ার সাথে সংযুক্ত হতে ওয়েব লিংকের প্রয়োজন। পৃথিবীর অনেক দেশের চাইতে বাংলাদেশের ইন্টারনেট খরচ বেশি। শিক্ষার ঞযব মষড়নধষ পধসঢ়ঁং ড়হষরহব সামগ্রিক বাণিজ্যিক বিষয়টি খোলা চোখে বোঝা যায় না। The global campus online বিন্যামূল্যে দিচ্ছি ঠিকই তারা অন্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা সেই শিক্ষা প্রদানের মূল্য নিয়ে নিচ্ছে। পূর্ব এশিয়ার দার্শনিক এবং শিক্ষাবিদ কনফুসিয়াস যে নৈতিক শিক্ষা প্রসার ঘটিয়েছেন বিশ্বজুড়ে তার জন্য তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন প্রকার অর্থ নেননি।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নানা ধারায় বিভক্ত। মূল দেশজ আবহ ধারায় এদেশের শিক্ষার্থীদের কতটুকু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে তা এখন দেখার বিষয়? আন্তর্জাতিক পরিম-লের চলমান শিক্ষার ধারার সাথে দেশের শিক্ষার ধারার সমন্বয় ঘটাতে হবে এটা ঠিক তবে মূল শিকড় থেক্যে বিচ্যুত হয়ে না। দেশের শিক্ষা শিক্ষানীতির দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার শিরোনামে বলা হয়েছে অন্যান্য গ্রহণযোগ্য উপায়ের সাহায্যে ছবি, রং মডেল, গল্প ছড়া কবিতার মাধ্যমে শিক্ষাদান পদ্ধতি চালু করা। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার মাধ্যমটি বাংলা কথাটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও বলা হয়েছে দেশজ আবহ এর মাধ্যমে শিক্ষণ পদ্ধতির কথা। মূল বিষয়টি হচ্ছে এদেশের সংস্কৃতির পরিম-লের প্রভাবে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতিটি পরিচালিত হবে। অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরের ভাষা হবে বাংলা এবং প্রযোজ্য বিশেষ অঞ্চলে বাংলাদেশি আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা। এই শিক্ষানীতির সাথে দেশে চলমান শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষানীতিতে বলা আছে প্রাক প্রাথমিক স্তরের পরবর্তী হবে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণী। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন গড়ে উঠা বাণিজ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাক প্রাথমিক স্তরে রয়েছে তিনটি শ্রেণী প্লে, কেজি, নার্সারি। এই বাণিজ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারিভাবে প্রাক প্রাথমিক স্তরের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যকৃত বই এর বাইরে নিজেদের ইচ্ছা মাফিক পাঠ্যপুস্তক এবং সিলেবাস তৈরি করে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা এবং সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেয়। তাছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাক প্রাথমিক স্তরে উর্দু, আরবি ভাষা শেখানো হয়।

প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার উপকরণ এবং পদ্ধতি সর্বক্ষেত্রে এক অভিন্ন হওয়া প্রয়োজন। কবি রুদ্র মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ দেশের শিক্ষা সম্পর্কে বলেছিলেন, এই সৌরমন্ডলের এই পৃথিবীর এক কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে যে শিশুটির জন্ম । দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে ছুটে বেড়ানোর অদম্য স্বপ্ন যে কিশোরের। জোস্না যাকে প্লাবিত করে। বনভূমি যাকে দুর্বিনীত করে। নদীর জোয়ার ডাকে যাকে নেশার মতো। অথচ তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, উপনিবেশিক জোয়াল গোলাম বানানোর শিক্ষা যন্ত্র। অথচ তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এক হৃদয়হীন ধর্মের আচার অথচ যাকে শৃংখলিত করা হয়েছে স্বপ্নহীন সংস্কারে। দেশের বর্তমান প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকালে বোঝা যায় একজন শিক্ষার্থীকে বাধ্য করা হচ্ছে তার ইচ্ছার বাইরে শিক্ষা গ্রহণ করতে। শিক্ষার আভিধানিক সংজ্ঞা হলো, ‘শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশের জন্য জন্য উৎসাহ দেয়া এবং সমাজের একজন উৎপাদনশীল সদস্য হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য যে সকল দক্ষতার প্রয়োজন সেগুলো অর্জনের সহায়তা করা। সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা।

ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞান লাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলা হয়। রুদ্রর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ দেশের প্রচলিত শিক্ষা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন আর শিক্ষার যে আভিধানিক সংজ্ঞা রয়েছে তার নিরিখে দেশের শিক্ষা পদ্ধতিকে নিরীক্ষণ করলে বোঝা যায়, শিক্ষার্থীদের অনেকটা বাধ্য করা হয় জ্ঞান আহরণের জন্য। তার ইচ্ছার বাইরে শিক্ষার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে দেয়া হয়। দেশে লন্ডন থেকে পরিচালিত ইংরেজি শিক্ষা, ভারতের দেওবন্দ থেকে পরিচালিত কওমি শিক্ষা, ইসলামিক মাদ্রাসা, সরকারি অনুমোদিত ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক স্কুল, বিভিন্ন ধরনের কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ নানা ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষানীতিতে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বর্ণিত নিয়মের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যতা রেখে শিক্ষা প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে তা একটু খতিয়ে দেখার প্রয়োজন।

[লেখক : কলামিস্ট]

সৌজন্যে: দৈনিক সংবাদ

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067191123962402