ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ২৪শে মে শ্যামল কান্তি ভক্তকে জেলে নেওয়ার পর, বার বার মনে পড়ছে গতবছরের ২০শে মে শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিক শিক্ষা ডটকমে প্রকাশিত আমার একটি লেখার কথা। যার অংশবিশেষ ছিলো এমন: ‘এক সময় তাঁর এই স্কুলটি ছোট ছিল, বেড়ার ঘর ছিল, ডুবা জায়গা ছিল। তখন তিনি খাটতেন খেয়ে না খেয়ে, তখন তিনি ভাল ছিলেন। এখন স্কুলটি বড় হয়েছে, স্কুলের অবস্থা ভালো হয়েছে। তাই বড়দের চোখ পড়েছে এটির উপর। এখন সেই প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত মন্দ হয়েছেন, তারছিড়া হয়েছেন, ইসলাম বিরোধী হয়েছেন। মার খেয়েছেন, কান ধরে উঠবস করেছেন, বরখাস্ত হয়েছেন। আন্দোলনের মুখে আবার পুনর্বহাল হয়েছেন। সব চেয়ে বড় ব্যাপার হলো, হিন্দু শিক্ষক মুসলমান সাংসদের শালা হয়েছেন!
আজকের এই আন্দোলন থেমে গেলে, এই শালার খবর নিতে হয়ত আর যাবেন না কেউ। তখন থাকবেন কেবল এই সাংসদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। আবার নতুন কমিটি হবে। সরকারের আজগবি বিধান অনুসারে এই সাংসদের বাছাই করা লোকই হবেন সেই কমিটির সভাপতি এবং সদস্যবৃন্দ। তখন তারা আবার সুদে আসলে আদায় করবেন আজকের এই লোকসান। হয়ত চাকরি হারাবেন, বাড়ি ছাড়া হবেন বা এলাকা ছাড়া হবেন অথবা দেশ ছাড়া হবেন এই শ্যামল কান্তি ভক্ত ও তার পরিবার পরিজন।
এই রাহুর কবলে আজ কেবল শ্যামল কান্তি ভক্তই নন; অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রধান এবং শিক্ষকগণ।’
কবে হবে সত্যের জয়?
লেখক: শিক্ষাবিদ এবং অধ্যক্ষ, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।