সচিবের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা - Dainikshiksha

সচিবের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা

শফিকুল ইসলাম/সাঈদ হোসেন |

জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনরত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের অনশন ভাঙালেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার (১৬ই জানুয়ারি) বেলা দু’টার দিকে তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে শরবত পান করিয়ে অনশন ভাঙান। এর আগে দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পর অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক নেতারা।

সচিব মোঃ আলমগীর অনশরত শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, গতকাল সোমবার (১৫ই জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আপনাদের দাবি দাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর কথা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দাবিদাওয়া সংক্রান্ত ও অন্যান্য তথ্য দেওয়ার জন্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সংক্রান্ত তথ্য প্রস্তুত করছে। দুই-একদিনের মধ্যে আপনাদের সকল তথ্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আপনাদের প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল। অনশন ভেঙে যার যার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে যান। অনশন ভাঙার আহ্বান করছি।

এরপর শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানান স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের সাথে আমরা একমত। উনারা যা করার করবেন। আমরা আশা করি দাবি-দাওয়া মেনে নেবেন।

আমরণ অনশন ভাঙ্গার পর একজন শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পরিবহন পুল কত দুর? সর্বোচ্চ ৫০০ গজ হবে? অথচ প্রতি মন্ত্রী নিজে না এসে সচিবকে পাঠালেন। আমরা আশা করেছিলাম শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নিজে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে দাবির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেবেন। কিন্তু সচিবের আশ্বাসে আমরা আশাহত হয়েছি।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন  করেন ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা। পরে ৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। টানা ৮ দিন পর যা আজ মঙ্গলবার (১৬ই জানুয়ারি) এসে শেষ হয়। ১৬ দিন যাবৎ মাদ্রাসা শিক্ষকরা প্রচন্ড শীতের মধ্যে অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এসময় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন।

জাতীয়করণের দাবি আদায়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে গত তিন দিনে দফায় দফায় বৈঠক হয় মাদ্রাসা শিক্ষকদের। কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া এসব বৈঠক শেষ হয়। গতকাল সোমবার (১৫ই জানুয়ারি) দুপুরে পরিবহন পুলে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । ওই বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী অগ্রগতি জানাবেন বলে শিক্ষকদের জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে গত রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুই দফা শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে অনশনরত শিক্ষকদের ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অনশন ভেঙ্গে বাড়ী ফিরে যেতে অনুরোধ করলে নেতৃবৃন্দ তা প্রত্যাখ্যান করেন। সভায় আন্দোলনরত বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকগণের দাবি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সক্রিয় প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে বলে নেতাদের জানান শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।

জানা যায়, মাদ্রাসা বোর্ডের নিবন্ধন পাওয়া ১০ হাজারের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা আছে। এতে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। মাত্র এক হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক দুই হাজার ৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষকরা দুই হাজার ৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068528652191162