মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২৬ হাজারের ঊর্ধ্বে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একসঙ্গে জাতীয়করণ করার যুগান্তকারী পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্তভাবে বা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই হোক বিভিন্নভাবে শিক্ষক হয়রানি আজো বন্ধ হয়নি। যা মধ্যম আয়ের দেশ বা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্তরায়। সারা দেশের কয়েকটি উপজেলার মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার সদ্য জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের মধ্যে ইতোমধ্যে যারা নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জন করেছেন বা যারা করতে পারেননি তাদের উৎসবভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতাসহ মাসিক বেতনভাতা বিগত কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
ফলে ওই শিক্ষক পরিবার-পরিজনরা আর্থিক অভাব-অনটনসহ নানাবিধ দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন, যা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের অন্তরায়। যদিও দেশের অধিকাংশ জেলায় শিক্ষকরা অঙ্গীকারনামা বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে বেতন-ভাতাদি ভোগ করছেন কিন্তু দেশের কয়েকটি নামমাত্র উপজেলার মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ মন্ত্রিপরিষদসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রজ্ঞাপন/পরিপত্র ছাড়া বেতন-ভাতাদি ছাড় করবেন না বলে অটল রয়েছেন। এমতাবস্থায় দেশের অধিকাংশ জেলার শিক্ষকরা শর্তসাপেক্ষে বেতন-ভাতাদি পাবেন আর কোথাও পাবেন না এমন সুযোগ সিদ্ধান্ত এক দেশে দ্বৈতনীতি বলে পরিলক্ষিত হয় যা সংবিধানের পরিপন্থী।
তাই বেতন-ভাতাদি ছাড় করণের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবেন বলে প্রত্যাশা করছি। সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে যেসব শিক্ষকরা অনেক দিনের বকেয়া বেতনভাতা, পুরাতন টাইমস্কেল পাওয়া নিয়ে হয়রানি, ফিক্সেসন জটিলতা, সার্ভিসবুক হালফিলে অসম্পূর্ণতা, উচ্চতর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ গ্রহণসহ নানাবিধ কারণে হয়রানি হচ্ছেন তাদের ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করে দ্রুত সমস্যা নিরসনকল্পে শিক্ষকদের পাঠদানে অধিকতর মনোযোগী ও আগ্রহ করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য শিক্ষকবান্ধব সরকারের কাছে বিনীত প্রার্থনা করছি।
-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সহকারী শিক্ষক, বিশ্বনাথ বাজার, বিশ্বনাথ, সিলেট।