শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, সবপর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতর সংলগ্ন লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য নয়, সব শিক্ষকদের জন্যই স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চাই।’
আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (এআইবিএস) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড এফেক্টিভ লিডারশিপ ইন হাইয়ার এডুকেশন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের সুপারিশমালা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
তবে, বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকরা স্বতন্ত্র স্কেল চান না। তারা ক্যাডার পরিচয় থাকাকে বড় মনে করেন।
নয় মাস আগে অষ্টম বেতন কাঠামোর প্রস্তাব আসার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে রয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
দাবি আদায় না হওয়ায় সোমবার দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় অসন্তোষ জানিয়ে আন্দোলন করছেন কলেজ শিক্ষকরাও।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্যের অধ্যাপকরা যে বেতন পান, তাদের থেকে বেশি পান নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বা এ ধরনের বিষয়ে যারা কাজ করেন তারা। এই রকম উচ্চদক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে পড়তে একটু বেশি বেতন দেওয়া হয়। সেখানে লিটারেচারের অধ্যাপকের বেতন অনেক কম। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সেটা চিন্তা করা যাবে না।
এই একবিংশ শতাব্দীতে পিছিয়ে থাকলে চলবে না উল্লেখ করে উপাচার্য আরেফিন বলেন, আমাদের বায়ো সাইন্টিস-নিউক্লিয়ার সাইন্টিস যারা বিদেশে কাজ করছেন, তাদের যদি আমরা উচ্চতর বেতন দেই বা অফার করতে পারি, তাহলে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসে পাঠদান করাবেন। জাতীয় বেতন কাঠামোয় বেতন দেওয়ার কথা বললে শিক্ষকরা বিদেশ থেকে আসবেন না। এ সমস্যাগুলো আছে, চিহ্নিত করা হয়েছে। সমাধানের পথ আমাদের বের করতে হবে।