রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় সভাপতির স্বাক্ষরের অভাবে দাখিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৪জন শিক্ষক কর্মচারী তিন মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার ফাজিলপুর দাখিল মাদ্রাসার ১৭জন শিক্ষক-কর্মচারী ও চিলাপাক বছির উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ১৭জন শিক্ষক-কর্মচারী তিন মাস ধরে বেতন-ভাতা পান না। ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৪জন শিক্ষক-কর্মচারী তাদের বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ফাজিলপুর মাদ্রাসার পিয়ন এনামুল হক জানান, বেতনের অভাবে রমজানের ঈদ করতে পারিনি, আবার ঈদুল আযহায় কোরবানিও করতে পারিনি।
ওই মাদ্রাসার সুপার আব্দুল আউয়াল জানান, গত তিন মাস আগে অনিয়মের কারণে আমরা শিক্ষক-কর্মচারী মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগ করেছি। এ কারণে তখন থেকে তিনি আমাদের মাদ্রাসার বিল শিটে স্বাক্ষর করেন না, আমরা তিন মাস ধরে সভাপতির স্বাক্ষরের অভাবে বেতন-ভাতাও তুলতে পারি না।
এ বিষয়ে ফাজিলপুর মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, সুপার আব্দুল আউয়ালকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে, যাকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি আজ পর্যন্ত বিল তৈরি করে আমার নিকট স্বাক্ষর নিতে আসেননি। এদিকে চিলাপাক বছির উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার আনোয়ারুল হক জানান, আমাদের মাদ্রাসায় ১৭জন শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত। ওই মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, সভাপতি ও সুপারের অবহেলায় আমরা দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা পাই না। বেতনের অভাবে এবারে আমরা অসচ্ছল পরিবারের ৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী কোরবানি দিতে পারিনি। ওই মাদ্রাসার সভাপতি আনোয়ারুল হক প্রাং জানান, আইনগত জটিলতা ও মামলা-মোকদ্দমার কারণে শিক্ষকরা দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা পাননি। সমস্যা সমাধান হলে তারা বিল পাবে।